সালাহউদ্দিন জিকুঃ করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিশুরা কাটাচ্ছে অবসর সময়।সেই ফাঁকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মোবাইল গেইমে জড়িয়ে পড়ছে।চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জনপদে কিশোর, তরুণ ও যুবকরা পাবজি, তিনপাত্তি, ফ্রি ফায়ার নামক গেইমে ঝুঁকে পড়ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকার দোকানে,রাস্তারপাশে, গাছতলায়,খোলামাঠে ইত্যাদি উঠতি বয়সের শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ পাপজি, তিনপাত্তি, ফ্রি ফায়ার নামক গেইমের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে আর মেধা নষ্ট করছে।যে সময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা বই খাতা নিয়ে আর খেলার মাঠে খেলে।সে সময়ে তারা তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে ঘরকুনো হয়ে গেইমের নেশায় বুদ হয়ে রয়েছে।১০-২২ বছরের এসব শিশু, কিশোর, তরুণর,যুবকরা প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের গেইম নামক নেশায় আসক্ত হচ্ছে।
মোবাইল গেমিং নামক এইরোগ গুলোর নেশায় আসক্ত হয়ে কাজ করার প্রবনতা লোপ পাচ্ছে।শিশু, কিশোর, তরুনদের গেমিং নেশায় পরে হারাচ্ছে নতুন কিছু অনুধাবন করার,নতুন কিছু জানার ও শিখার মত ইচ্ছে।শিক্ষা ডিজিটালাইজ করতে / উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে এই সব গেমিং নেশা হলো চুড়ান্ত বাধা।সরকারি উদ্যোগ জরুরি।
গেমিং নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে মোবাইল গেইম আসক্তি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা।সংস্থাটি প্রথমবারের মত এটাকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোগব্যাধির শ্রেণি বিন্যাসের তালিকায় ‘গেইমিং রোগ’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে।ছবুরা নামক এক অভিভাবক বলেন, আমার বাচ্চাকে কোন ভাবেই এই গেইম গুলো থেকে সরাতে পারছিনা।সেই এখন নিয়মনীতির বাইরে চলাফেরা করছে,ঠিকমত খাওয়াদাওয়াও করেনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোরী বলেন, প্রথম প্রথম ফ্রি ফায়ার আমার ভাল লাগত।এখন না খেললে আমার চলেনা।স্কুল বন্ধ, পড়ালেখার চাপ নেই তাই খেলতে খেলতে নেশা হয়ে গেছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন বলেন, গেইমখেলা তো খারাপ কিছু না।কিন্তু নেশারমত করে খেললে তো খারাপ।এখন করোনা মহামারী নিয়ে আমাদের যুদ্ধের মত অবস্থা।সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।অলস সময়ে খেলতে খেলতে নেশারমত হয়েছে।শিশু কিশোরদের শিক্ষায় উন্নত করার জন্য আমাদের কর্মসূচী অনেক।কিন্তু করোনা প্রধান বাধা।তাৎক্ষণিক কিছু করা যাবেনা।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে আমরা বিভিন্ন টূর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে এইসব গেমিং নেশা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারব।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,ডিজিটাল বাংলাদেশ সকলের হাতে তুলে দেয়া আছে।অভিভাবকরা যদি ইন্টারনেটের যে সুফলগুলো আছে,শিক্ষার যে কনটেন্ট গুলো আছে সেগুলো নিয়ে যদি একটু বসায় তাইলে বাচ্চারা এসব গেমিং নেশায় জড়িত হতে পারবে না।শিশু কিশোররা ইন্টারনেটের সুফল ব্যবহার করে পড়ালেখার মধ্যে থাকতে পারবে।