গৌরনদী প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার ঐতিহ্যবাহী গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের ধানডোবা গ্রামের, মোক্তার বাজার নামকস্থানের ওয়াছেল বেপারীর পুকুরের রয়েছে, শত বছরের পূরন বিশালাকার শত শত পুকুরভর্তি গজাল মাছ।দক্ষিণাঞ্চলসহ পাশবর্তী জেলা গুলোর জনসাধারনের কাছে খুব পরিচিত ধানডোবা কারিকর বাড়ীর গজাল মাছ। প্রতিনিয়ত পুকুরভর্তি গজাল মাছ দেখতে বিভিন্ন জেলার দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ ও ভক্তবৃন্দ,ও পর্যটক স্পট হিসেবে বিশেষ বিশেষ দিনে কারিকর বাড়ীর পুকুর পারে, পুকুরভর্তি গজাল মাছ দেখতে উপস্থিত হয় হাজার হাজার ছোট বড় নারী পুরুষ ও দর্শনার্থী। কোন কোন পরিবার ছুটে আসে (মানত) করে রোগ মুক্তি ও আশা পূরণে কামনায়। প্রচলিত বিশ্বাসে পুকুরভর্তি গজাল মাছের খাবার হিসেবে নিয়ে আশা হয়।ছোট মাছ ও মুরগির।কোন কোন পরিবারের মানতকারী মুক্তির লাভে গোসল করে পুকুরভর্তি গজাল মাছের পুকুরে। কথা হয় ওয়াছেল বেপারী (পুতি) মোক্তার বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম সাথে তিনি জানান, প্রায় একশত বিশ-বছর পূর্বে থেকেই আমার পূর্ব পুরুষ ওয়াছেল বেপারী ছিলেন বাগেরহাট খাজা খানজাহান আলীর মাজার ও সিলেট হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের ভক্ত, সেই সুবাদে তিনি প্রতি বছর ওরসে প্রতিনিয়ত আশা যাওয়া করতেন হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের, সিলেট মাজারে পুকুরভর্তি অলৌকিক গজাল মাছ দেখে মনে বাসনা থেকে শতবছর আগে সিলেট মাজারের খাদেমের কাছে গজাল মাছ নিয়ে এসে গ্রামের নিজ পুকুরে লালন পালনের আবদার করে।
হযরত শাহজালাল(রহ:) ভক্ত ওয়াছেল বেপারী আবদার পূরণ ও খুশি করতে সিলেট মাজারের খাদেম নির্দেশ করে বলেন, গ্রামের খালবিল থেকে একজোড়া গজাল মাছ ধরে পুকুরে ছেড়ে লালন পালনের অনুমতিদেন, হযতর শাহজালাল (রহ:) আর্শিবাদে পুকুরের ছোট মাছ দুটো অলৌকিক কুদরতে হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের গজাল মাছে পরিনত হবে বলে নিশ্চিত করেন। ওয়াছেল বেপারী মাজারের খাদেমের কথা বিশ্বাস ও বাড়ীতে ফিরে নির্দেশ মোতাবেক একজোড়া গজাল মাছ ধরে পুকুরে ছেড়ে লালন পালন করেন।সময়ের ব্যবধানে অলৌকিক কুদরতে হযতর শাহজালাল (রহ:) মাজারের গজাল মাছে পরিপূর্ণতা পায়,ধানডোবা গ্রামের ওয়াছেল ফকির ও কারিকর বাড়ীর পুকুরে।সেই শত বছর পূর্ব থেকে আজ অবধি ধানডোবা ওয়াছেল বেপারী বাড়ীর গজাল মাছ সিলেট মাজারের গজাল মাছের ন্যায় মানুষ ও ভক্তবৃন্দের কাছে পরিচিতি লাভ ও বিশ্বাস করে দেখতে আসেন।তিনি আরও বলেন এই গজাল মাছ গুলো হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারের আর্শীবাদের নেয়ামত,তাই আশপাশের এলাকাবাসী ও দূরদূরান্ত থেকে আশা দর্শনার্থী দ্বারা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ও হয়নি কোনদিন পুকুরভর্তি গজাল মাছের।
আমরা সর্ব সময় পরিচর্যা ও সংরক্ষন করে থাকি। তবে যাতায়েতের একমাত্র সড়ক টরকী – বাশাইল সড়কটি প্রায় যান চলাচলোর অনুপযোগী এবং মোক্তার বাজার ব্রীজ থেকে শুরু করে পুকুর ঘাট পযর্ন্ত সড়কটির খুবই বেহাল অবস্থ। দুরদুরান্ত থেকে আসা মানুষের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত ঘটে নানান দুর্ঘটনা। স্থানীয় মানুষ ও পরিবেশ সংগঠকদের জোরদাবী ঐতিহ্যর স্মারক বহন করা এই পুকুরটিকে যথাযথ সংরক্ষণ করা একই সাথে পর্যটক অকৃষ্ট করতে সড়কটি পূর্ণ সংস্কারের জন্য বরিশাল (১নং) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছেন।