শরীয়তপুর প্রতিনিধি: গেলো (১১ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রী সপ্তম শ্রেণীর এক কিশোরী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী করেছেন বলে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।ঘটনার জানার পরে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে মাঠে নামে সাংবাদিক দল। পরে (১৭ আগস্ট) বুধবার ওই কিশোরীর দেয়া ৫ মিনিট এর একটি অডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের হাতে আছে, যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।ভুক্তভোগী কিশোরী ও সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রথি কান্ত মিস্ত্রী, ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা ও স্কাউট বিষয়ক সহকারী শিক্ষক। সেই সুবাদে তিনি স্কাউটিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার স্কাউটদের সাপ্তাহিক মিটিং ছিল, কোন কারণ ছাড়াই তিনি সেই মিটিং বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারপর সেখানে ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়, অভিযুক্ত রথি কান্ত মিস্ত্রী।
এই বিষয়টি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের কাছে জানালে, প্রধান শিক্ষক বিষয়টিকে ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করছ বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। এবিষয় নিয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে কথা বলা যায়নি।পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার এর কাছে অভিযুক্ত শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীর ঘটনার বিষয় জানতে চাওয়ায় সুজিত কর্মকার দুই সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও বাড়ি গিয়ে ধরে আনার হুমকি দিয়েছে বলে জানা যায়। এমন একটি মোবাইলে কথপোথনের অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাংবাদিকদের হুমকির বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন হিরু ও আশিকুর রহমান হৃদয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার বলেন, আমরা সকলকে জানিয়েছি ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিব। তারপরেও এই দুই সাংবাদিক আমাদেরকে ডিস্টার্ব করেছে, তাই গালিগালাজ করেছি।তবে বিষয়টি নজরে এলে কতৃপক্ষ অভিযুক্ত ওই শিক্ষকে সামরিক বরখাস্ত করেছে বলে জানা গেছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শ্রী শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, আমি ব্যাপারটি গত কাল শুনেছি। শিক্ষক সাহেব যে কাজটি করেছেন, তা নিতান্তই অন্যায় কাজ করেছেন। আমরা তাকে সামরিক বরখাস্ত করেছি আমি সরেজমিনে গিয়ে নিজে তদন্ত করবো তারপর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে ব্যাপারটি জেনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।