মো: সাইদুল ইসলাম সাইদ, ডেস্ক নিউজ: একটা রেজাল্ট বা এটা A+ কখনো একটা মানুষের ভবিষ্যত নির্ধারন করতে পরে না। সমাজে এমন অনেক ছাত্র আছে যারা এক সময় অনেক ভাল রেজাল্ট করেছে, কিন্তু আজ তাদের কোন অস্তিত্ব নেই । এডোকেশন আর প্রফেশন এ তাদের নেই কোন মিল। রেজাল্ট ভাল বা খারাপ নিয়ে অভিবাবকদের দৃষ্টিবঙ্গি পরিবর্তন করা দরকার। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে কিংবা A+ না পেলে হতাশ না হয়ে পরবর্তীতে ভালো রেজাল্ট করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে হবে । এমন অনেক ছাত্র ছাত্রী আছে যারা মাধ্যমিক/ উচ্চ মাধ্যমিক এ A+ না পেয়েও ভাল বিশ্ব্যবিদ্যালয় এ পরাশোনা করতেছে । যদি কেউ পরীক্ষায় পাশ না করে বা A+ না পায় তাহলে প্রতিবেশীদের এসব নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা অনুচিত আর অভিভাবকদের ও উচিৎ সন্তানকে খারাপ মন্তব্য না করে ভবিষ্যতে ভালো করার জন্য উৎসাহ দেয়া। মনে রাখা দরকার, রেজাল্ট একবার খারাপ হলে পরেরবার ভালো করা যায় কিন্তু জীবন একবার চলে গেলে সেটা আর ফিরে আসেনা। তাই কেউ যদি পরীক্ষায় খারাপ করে ভুলেও যেন আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত না নেয় আর অভিভাবক,সহপাঠী ও পাড়া-প্রতিবেশীরা যেন এমন আচরণ না করে যার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
কুমিল্লা বোর্ডের সুই সাইড করা ১১ জন ছাত্রের মধ্যে ১ জনের সুই সাইড নোটঃ
.. আগামি বছর আবার পরীক্ষা দিবো। মা, বাবাকে বুঝাইছি। সবাই স্বাভাবিক ছিলো, আমিও। কিন্তু একের পর এক প্রতিবেশী সহপাঠীরা
মিষ্টি আর কথার খোঁচা নিয়ে হাজির হতে লাগলো। আমার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো। বাবাও আমাকে গালি*গালাজ করলো।
যে মা বাবা গতকাল আমার মাথায় হাত রেখে বলছিলো চিন্তা করিস না, বুড়ো হয়ে যাস নাই। সামনের বার আবার পরীক্ষা দিস, বছর যাইতে
কয়দিন। অথচ, প্রতিবেশীদের মিষ্টি পেয়ে সেই বাবা মা আমাকে জুতা দিয়ে পিঠলো, শুধু তাই নয়, আমার উপর রাগ করে বাবা পাতের ভাত লাথি
মেরে ফেলে দিলো। অনেক চেষ্টা করেছি লুকিয়ে থাকার, পারলাম না। প্রতিবেশীরা এক হাত জিহ্ববা বের করে অনুশোচনা করলো, শুধু অনুশোচনা নয়,
আমার জন্য নাকি আমার মা দায়ী। মায়ের আস্কারা পেয়ে আমি নষ্ট হয়ে গেছি। তাদের কৈফিয়ত পেয়ে আমার বাবা মাকে উঠানে প্রচুর মেরেছে।
মা এখনো বেহুঁশ। মার জ্ঞান ফিরার আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানালাম…!
ভালো থাকবেন প্রতিবেশীরাদ
ভালো থেকো সহপাঠী বন্ধুরা.
পিতামাতাদের উপদেশ আমাদের মানায় না
তবু ও বলছি সমাজ কি বললো।
প্রতিবেশী কি বললো সেটা শুনে,
নিজের ছেলে মেয়েকে অপমান করে,
মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবেন না
মনে রাখবেন ছেলেমেয়েটা আপনার তাদের না।