ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঠলিয়া উপজেলাধীন আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন বা সংশোধনে সরকার নির্ধারিত ফিয়ের চেয়ে ৪/৫গুন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক অভিযান চালিয়েছে। আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদে সচিব মাসুদ মিয়া ও কম্পিউটার অপারেটর শরিফুলের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ভূক্তোভুগী কয়েকজনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।গতকাল বুধবার (১মার্চ) সকাল ১১টায় থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুদকের অভিযান কালে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাসুদ মিয়া অফিসে অনুপস্থিত ও তার মেবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাকে খুজে পাননি বলে জানা গেছে।
আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। জানা গেছে, আকস্মিক ভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঝালকাঠি-পিরোজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এসময় আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, সচিব (অতি:দায়িত্ব) মাসুদ মিয়া ও কম্পিউটার অপারেটর (তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্দোক্তা) মোঃ শরিফুল সবাইকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা ইউপি সচিবকে একাধিক বার ফোন দিয়েও তার ফোন বন্ধ পায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামকে মোবাইলে ফোনে কল দিয়ে পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে আনেন।
দুদকের কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন বা সংশোধনে ৪/৫গুন অতিরিক্ত অর্থ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চেয়ারম্যান এবিষয়ে নিজের কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন। ইতিমধ্যে কম্পিউটার অপারেটর (তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্দোক্তা) মোঃ শরিফুল পরিষদে উপস্থিত হলে দুদকের কর্মকর্তারা এবিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সে অভিযোগ স্বীকার করে সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকা হলেও আমাদের এখানে প্রতিটি জন্মনিবন্ধন বা সংশোধনে ২০০ টাকা নেয়া হয় বলে জানায়। সরকারি ফি বাদ দিয়ে বাকী টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন বলে স্বীকার করেন। এক পর্যায়ে দুদক কর্মকর্তারা আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদে সচিব মাসুদ মিয়া ও কম্পিউটার অপারেটর (তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্দোক্তা) মোঃ শরিফুলকে ০২মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে ঝালকাঠি-পিরোজপুর সম্মিলিত জেলা দুদুক কার্যালয়, পিরোজপুরে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জানান, জন্মনিবন্ধন বা সংশোধনে সরকার নির্ধারিত ফিয়ের চেয়ে ৪/৫গুন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয় তদন্ত করতে দুদক কর্মকর্তারা তার পরিষদে এসে ছিলেন। যেহেতু বিষয়টি ইউপি সচিবের অধীন তাই এব্যাপারে সেই সঠিক তথ্য দিতে পারবেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি-পিরোজপুর সম্মিলিত জেলা দুদুক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আরিফুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে এবিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দিতে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে তাই কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।