শনিবার , ৪ মার্চ ২০২৩ | ১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. অলৌকিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত
  7. কবিতা
  8. করোনাভাইরাস আপডেট
  9. ক্যাম্পাস
  10. খেলাধুলা
  11. গনমাধ্যম
  12. চাকুরী
  13. জাতীয়
  14. ডেস্ক রিপোর্ট
  15. ধর্ম

শেরপুরে প্রাথমিক বৃত্তির সংশোধিত ফলে ১৬০ জনের মধ্যে বাদ ১১০

প্রতিবেদক
মো: সাইদুল ইসলাম সাইদ
মার্চ ৪, ২০২৩ ১:৪০ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধি:  ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফলে শেরপুরের নকলা উপজেলার মোট ১৬০জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিশু শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১০ জন বৃত্তিবঞ্চিত হয়েছে! এতে বৃত্তিবঞ্চিতদের মন ভেঙে পড়েছে। বন্ধু-বান্ধবের টিপ্পনী ও লোকলজ্জায় তারা ঘরে বসে কাটাচ্ছে দিন। প্রথম প্রকাশিত ও সংশোধিত আকারে প্রকাশিত বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলের সূত্র মতে, প্রথম প্রকাশিত নকলা উপজেলা থেকে ট্যালেন্টপুলে বা মেধাবৃত্তি পায় ৫১ জন (ছেলে ২৫ জন ও মেয়ে ২৬ জন) এবং সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত হয় ১০৯ জন (ছেলে ৫৩ জন ও মেয়ে ৫৬ জন)। সংশোধিত ফলাফলে বৃত্তি প্রাপ্তের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও বৃত্তিবঞ্চিত হয়েছে ১১০ জন। বৃত্তিবঞ্চিতদের মধ্যে মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত ছিলো ৩৫ জন ও সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত ছিলো ৭৫ জন।
তাছাড়া সংশোধিত ফলাফলে মেধাবৃত্তিতে ছেলে ও মেয়ের সংখ্যা অপরিবতর্তিত থাকলেও মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত ১০জন সাধারণ বৃত্তি পায় ও ৬ জনের ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে। বৃত্তিবঞ্চিত হয় ৩৫ জন। সাধারণ বৃত্তির সংশোধিত ফলাফলে মেয়ের সংখ্যা ১ জন বৃদ্ধি পায়, ছেলের সংখ্যা ১ জন কমে। ফলে ৫৭ জন মেয়ে ও ৫২ জন ছেলে সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত হয়। সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত ৯জন মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত পায় ও ২৫ জনের ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে,বৃত্তিবঞ্চিত হয় ৭৫ জন। উল্লেখ্য, ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার ৪ ঘণ্টার মাথায় ‘যান্ত্রিক ও কারিগরি ত্রæটির কারণে স্থগিত করা হয়।
পর দিন বুধবার (১ মার্চ) সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। দেশের মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। মেধা বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী। ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে বৃত্তি পাবে। তাছাড়া সকল বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গত ডিসেম্বরে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সারা দেশে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান ৪ বিষয়ে প্রতিটিতে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রায় এক যুগ আগে এভাবে আলাদা করে বৃত্তি পরীক্ষা নে’য়া হত। কিন্তু ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত হয় নতুন শিক্ষাক্রম চালুর। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে না, তাই প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ২০২২ সালের শেষে আবারও আলাদাভাবে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়।

সর্বশেষ - আলোচিত

আপনার জন্য নির্বাচিত
Design and Developed by BY AKATONMOY HOST BD