অর্থনীতি ডেস্ক: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে জাল-জালিয়াতি বন্ধে সব শাখায় অনলাইনে তদারকি জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসাবে এখন থেকে সব শাখার তথ্য অনলাইনে পাঠানোর পাশাপাশি হার্ডকপি আকারেও পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে অনলাইনে প্রতিবেদন পাঠানোর সক্ষমতা নেই এমন শাখার সংখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় জারি করা সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যাংকের সব শাখা অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন সব শাখা থেকে অনলাইনেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকেও একই তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের তথ্যে কোনো পার্থক্য থাকে কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়। ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণ, বড় অঙ্কের ঋণ, ঋণের জামানত, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ইত্যাদি সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। প্রতি মাসের তথ্য পরবর্তী মাসের ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনলাইনে পাঠাতে হবে। অনলাইনে পাঠানোর পরবর্তী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে সেগুলো ব্যাংককে হার্ডকপি আকারেও পাঠাতে হবে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে বেশকিছু বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। আর যাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে না পারে বা ঘটার আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক আঁচ করতে পারে সেজন্য এখন শাখা থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। কোনো শাখা থেকে ভুল তথ্য দেওয়া হলে বা কোনো তথ্য গোপন করলে সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতির ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় প্রধান কার্যালয় ও শাখার মধ্য পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। এ কারণে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি শাখা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে।