মধুপুর সংবাদদাতা: টাংগাইল জেলার মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের আম্বাড়ীয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আম্বাড়ীয়া বাজার মসজিদের সীমানার ভিতরে শ্রী হারাধন চন্দ্র দাস পিতা খিতেস চন্দ্র দাস সহ কয়েকজন লোক অসৎ উদ্দেশ্যে দুই ধর্মের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিব মন্দির স্থাপন ও বারোনির স্নান উৎসব অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে। মসজিদ কমিটি বাধা দিলেও তার তোয়াক্কা না করে জোর পূর্বক মসজিদের সামনে বান্দা ঘাট মেরামত ও শিব মন্দিরের কাজ করে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামের মুসলমান সহ আশেপাশের মুসলমানগণ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকালবেলা এ নিয়ে হিন্দুধর্মের নেতাকর্মী ও মুসলমানদের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অবশেষে গত শুক্রবার বাদ মাগরিব আম্বাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বর্তমান ইউপি সদস্য জনাব মিজানুর রহমানের পরিচালনায় আম্বাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক জনাব আব্দুল হামিদ মাষ্টার সাহেবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা / শালিশ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত শালিশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা কমিটির মধুপুর উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জীবন চন্দ্র গুন,সাধারণ সম্পাদক সুকুমার গোপ সহ দুই ধর্মের তিন শতাধিক লোক। মধুপুর উপজেলার পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার হারাধনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এর আগেও আপনার নামে সমাজ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ শুনছি এখনও আবার, এখনো ঠিক না হলে আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শ্রী জীবন চন্দ্র গুন বলেন হারাধন হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক জন লোক নিয়ে সমাজের মধ্যে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।
সে একটি পূজামণ্ডপ থাকা সত্ত্বেও আরেকটি পূজামণ্ডপ স্থাপন করে এবং মসজিদের জায়গায় যেখানে মুসুল্লিগন অজু করে সেখানে স্নান উৎসব করতে চায়।এতে দুই ধর্মের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হবে। অবশেষে উপজেলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার ও শ্রী জীবন চন্দ্র গুনের অনুরোধে এবারের মতো গোসলের অনুষ্ঠান চালানোর অনুরোধ করে এবং পরবর্তীতে এখানে আর এ ধরনের অনুষ্ঠান আর করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন। পরে শ্রী হারাধন চন্দ্র দাস তার সকল অপরাধ স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে আর কোনো কর্মকান্ডের মাধ্যমে মুসলমান ও হিন্দুধর্মের মধ্যে বিবাদ বা সহিংসতা সৃষ্টি করবেনা তার স্বীকারোক্তি প্রদান করে।