মঙ্গলবার , ৯ মে ২০২৩ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. অলৌকিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত
  7. কবিতা
  8. করোনাভাইরাস আপডেট
  9. ক্যাম্পাস
  10. খেলাধুলা
  11. গনমাধ্যম
  12. চাকুরী
  13. জাতীয়
  14. ডেস্ক রিপোর্ট
  15. ধর্ম

পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রতিবেদক
মো: সাইদুল ইসলাম সাইদ
মে ৯, ২০২৩ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বরেণ্য এই পরমাণু বিজ্ঞানী ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেহপুর গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি তাঁর সমগ্র কর্মজীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন।

তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর লেখা ৪৬৪ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ৩২০ পৃষ্ঠার ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হয়।

২০০৯ সালের ৯ মে ৬৭ বছর বয়সে বাংলাদেশের এ বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পর তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এবং বহুমাত্রিক জাতীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি সারাজীবন বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন, বিকাশ এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। রাজনীতির ডামাডোল ও ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেও নিজেকে আড়াল করে কর্মযোগী, ধীমান ও নিভৃতচারী এই মানুষটি জাতির কল্যাণে যে অনন্য নজির রেখে গেছেন, তা অনাগত প্রজন্মের কাছে অন্তহীন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

যথাযথ মর্যাদায় ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান রংপুরের পীরগঞ্জে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাঁর জন্মস্থান পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে এবং রংপুর মহানগরীতে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরিবার, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন, ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদ (ডিডব্লিউএসএস), ড. ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্মৃতিচারণ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি  অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

সর্বশেষ - আলোচিত

Design and Developed by BY AKATONMOY HOST BD