সাখাওয়াৎ হোসেন সরকারঃ শৈশব ও বাল্যকাল পেরিয়ে সংক্ষিপ্ত বয়ঃসন্ধির মধ্য দিয়ে যৌবনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর যে দ্রুত,বাড়ন্ত ও পরিবর্তনশীল সময় তাকে বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Adolescence. এর অর্থ হলো পরিপক্কতা অর্জন।সাধারণতঃ ১২ থেকে ১৯ বছর বয়সকে বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়।আবহাওয়া ও অঞ্চলভেদে এটা কিছুটা পরিবর্তনশীল। ১২ থেকে ১৪ বছরকে প্রারম্ভিক বয়ঃসন্ধিকাল এবং ১৫ থেকে ১৯ বছরকে প্রান্তিক বয়ঃসন্ধিকাল বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে বাল্যকালের শেষ পর্যায় ও কৈশোরের আগমনের সন্ধিক্ষণকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের জীবনে নানাবিধ চাহিদার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই অতিরিক্ত চাহিদার বেশিরভাগই পরিতৃপ্ত হয় না।এই চাহিদার অপরিতৃপ্তির জন্য এদের মনোজগতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং এ থেকে বিভিন্ন সমস্যার উদ্ভব হয়।বয়ঃসন্ধিকালে সমস্যাগুলো এমন হতে পারে।যেমন- শৃঙ্খলা ভঙ্গ, স্কুল পালানো, অসামাজিক আচরণ,আক্রমণাত্বক মনোভাব, যৌন অপরাধ,প্রাক্ষোভিক মনোভাব,অবাঞ্ছিত আচরণ,নীতিবোধের অভাব,হতাশা ও অপরাধ প্রবণতা ইত্যাদি।
তাই দেখা যাচ্ছে যে বয়ঃসন্ধিকালের চাহিদা অতৃপ্তির ফল সুদূরপ্রসারী।তাই তাদের চাহিদা যাতে যথাযথভাবে পুরণ হতে পারে,সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা কিশোর কিশোরীদের বিকাশ প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট পিতামাতা,অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকা প্রত্যেকের উচিত। বয়ঃসন্ধিকালের এই মুহূর্তগুলো বাবা মা,শিক্ষক ও অভিভাবক সমতুল্য সকলের উচিত ছেলে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যাগুলো এড়ানোর জন্য তাদের প্রতি কঠোর দৃষ্টি দেওয়া ও তাদের ভুলগুলো স্বাভাবিক কথোপকথের মাধ্যমে সংশোধন করে দেওয়া।