স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের অন্তর্গত ১০৪ নং বলদীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিভিন্ন অনিয়ম অবহেলার মধ্য দিয়ে চলছে বলে, অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। বুধবার (২৪মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মনিটরিং বোর্ডে ৫ জন শিক্ষক সহ, মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪ জন। এলাকাবাসী জানান প্রত্যেক দিন ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। বুধবার ২৪মে মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে ক্লাশ। প্রথম শ্রেণীতে১ জন শিক্ষার্থী, এবং দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৪ জন শিক্ষার্থী। ৩য় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীতে কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। অথচ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায়, শত ভাগ উপস্থিতি দেখানো হয়। বিদ্যালয়টির অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও, অফিস কক্ষে নেই কোন আসবাবপত্রের উন্নয়ন। গত চার বছর আগের প্রজ্ঞাপনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি, আপডেট করা বাধ্যতামূলক করা হলেও।
বলদীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে, এখনও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আপডেট করা হয়নি। এবং শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায়, নেই কোন হাজিরার নিয়মনীতি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, গত দুই বছর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শহীদ মিনার স্থাপন, বাধ্যতামূলক করা হলেও। এখনও বিদ্যালয়টিতে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি। যদি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকে, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কি করে বুঝবে, শহীদ মিনারের মর্যাদা। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে, আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। তাদের রক্তের পথ বেয়েই, আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আজ নবীন প্রজন্ম যেমন শহীদ মিনারের বিষয়ে অস্পষ্ট। তেমনিভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, শহীদ দিবস, ও স্বাধীনতা দিবসের মত। গুরুত্বপূর্ণ দিবসের তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে না শিশুরা। এবং যে শহীদ মিনারের মধ্য দিয়ে, শিশুরা জাতীর সূর্য সন্তান, শহীদদের আত্বদান খুজে পাবে।
অথচ আজকে সেই শহীদদের অবমাননা সহ, প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা করা হচ্ছে। এবং বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফান্ড থেকে আসা অর্থের বিষয়ে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে। তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে, এ বিষয়ে এরিয়ে যান। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মোঃ সুলতান মাহমুদের সাথে, মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রের উন্নয়ন ও শহীদ মিনার স্থাপন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে। তিনি বলেন বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডে যে টাকা আসে, সেটা আমরা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করেছি। অথচ সরজমিনে গিয়ে, বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়েনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মেজবাউল করিম বলেন, আপনাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে অবগত হলাম, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।