জোবায়েল ইসলামঃ বর্তমানে সারা বিশ্ব করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতে পরছে ব্যাপক প্রভাব। যার ফলে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে অধিংকাশ দেশ। সবচেয়ে ব্যাপক প্রভাব পরছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রবাস থেকে ছুটি আসা প্রবাসী ও নতুন প্রবাসগামীগণ। করোনার কারণে প্রবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে টিকেটের জন্য গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। শুধু এখানে ই শেষ নয় আবার রয়েছে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন যার জন্য গুণতে হয় ৬০,০০০ থেকে ৭০,০০০টাকা।
যদি ও কোয়ারেন্টাইন টাকা থেকে রক্ষার সুযোগ রয়েছে কিন্তু সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে প্রবাসীগণ। কারণ বিকল্প ব্যবস্থাটা ছিলো করোনা ভ্যাকসিন প্রদান যা সরকারি ভাবে প্রদানের কোন নির্দেশনা নেই।যে প্রবাসীগণ বিগত সময়ে দেশে রেমিটেন্সে প্রদানে রের্কড করেছে। যার ফলে তাদেরকে বলা হয় “রেমিটেন্স যোদ্ধা”।
আমাদের দেশের সেই রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছি? হ্যাঁ, আমরা মূল্যায়ন করি শুধু মুখে। আমাদের কি উচিত নয় তাদের মৌখিক মূল্যায়ন না করে তাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া?
সরকার যদি বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করে তাহলে আমাদের দেশের ছুটিতে আসা প্রবাসী ও নতুন প্রবাসগামীগণ কোয়ারেন্টাইন যার জন্য ৬০,০০০ থেকে ৭০,০০০টাকা টাকা গুণতে না হবে।প্রবাসীগণ যদি রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে কৃতিত্ব রাখতে পারে।তাহলে আমাদের দেশে কেন তাদেরকে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে?