জেলা প্রতিনিধি : দড়িতে বাঁধা ইতি মনির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো পুনাক অটিজম ও নিউরোলজিক্যাল ডিজিসে আক্রান্ত শিশু ইতি মনির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে শেরপুরের পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ইতি মনি ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে পুনাক। এ বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ শেরপুর জেলা টিমকে। সংগঠনটির সাবেক সভাপতি নাঈমুর রহমান তালুকদার চিকিৎসার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে ইতি মনিকে শেরপুর পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় পুলিশ লাইন্সের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. বিকাশ ইতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে রেফার করেন। এ সময় ইতিকে দীর্ঘ সময় থেরাপি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। নিয়মিত থেরাপি, পরিচর্যা ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে ইতিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলেও জানানো হয়েছে। ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ শেরপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আনিকা তাসফিয়া বলেন, গণমাধ্যমে ইতি মনির বিষয়টি প্রকাশের পর শেরপুর জেলা পুলিশের মান্যবর পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান মহোদয় ও পুনাক সভানেত্রী সানজিদা হক মৌ ম্যাম ইতি মনির খোঁজ নিয়েছেন।
শ্রীবরদী থানা পুলিশের একটি টিম ও ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ শেরপুর জেলার একটি টিম ইতি মনির বাড়িতে গিয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে। পরবর্তীতে পুনাক সভানেত্রী সানজিদা হক মৌ ম্যাম শিশু ইতি মনির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার চিকিৎসার বিষয়ে আমাদেরকে সমন্বয়ের জন্য বলেছেন। সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতি মশিউর রহমান তালুকদার বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা পেয়ে আমাদের একটি টিম ইতি মনির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষ করে। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এবং শিশু ও কিশোর বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফুল আমিন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (পেডিয়াট্রিক সার্জারি) ডা. সৈয়দ আদিল রুপসের সঙ্গে পরামর্শ করি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইতির পরবর্তী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতি মনি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে। জন্মের পর তিন বছর স্বাভাবিক থাকলেও পরবর্তীতে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে ইতি। এসময় সে তার নিজের শরীরের মাংস কামড়ে ক্ষত সৃষ্টির করার পাশাপাশি পুকুর ও সড়ক ধরে হেঁটে চলে যাওয়া শুরু করতো। বেশ কয়েকবার হারিয়ে যাওয়ার পর তাকে এখন বেঁধে রাখা হয় দড়ি দিয়ে। বর্তমানে তার শরীরের ভারসাম্য নেই বললেই চলে।