গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৫০.০ মি.মি. এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ১৩১.০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে।আগামী ৭২ ঘন্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল হাওর পাড় এলাকায় বসবাসকারী মানুষ বন্যার আশঙ্কার মধ্যে সময় পার করছেন। এছাড়াও উপজেলায় অনেক ঘর বাড়িসহ মসজিদ ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েগেছে উপজেলার বেশ কয়েকটি ঘর বাড়ীও রাস্তাঘাট।সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার ৩ জুলাই জগন্নাথপুর উপজেলার নলজুর নদীর পানি ০.১ সেন্টিমিটার কমে ৬. ৫২ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।আবহাওয়া সংস্থা সমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘন্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ সময় এ অঞ্চলের কতিপয় নদ-নদীর যাদুকাটা,সুরমা,কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন,সোমেশ্বরি পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা সরকারের পক্ষ থেকে মোকাবেলার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিলে, সরকারের তরফ থেকে পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা মজুদ রয়েছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।