শনিবার , ৮ জুলাই ২০২৩ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. অলৌকিক
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. আলোচিত
  7. কবিতা
  8. করোনাভাইরাস আপডেট
  9. ক্যাম্পাস
  10. খেলাধুলা
  11. গনমাধ্যম
  12. চাকুরী
  13. জাতীয়
  14. ডেস্ক রিপোর্ট
  15. ধর্ম

ছাগল চুরির কথা বলে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয় সাকিবকে

প্রতিবেদক
মো: সাইদুল ইসলাম সাইদ
জুলাই ৮, ২০২৩ ১২:২৩ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিনিধি : ছাগল চুরি করতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের উত্তর পাড়ার মাঠে সাকিব(১৭) নামের এক কিশোরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ মনির মোল্যা ওরফে আশরাফুল মেল্যা(১৯) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত মনির মোল্যা যশোর সদর পৌরসভার বাবলাতলা এলাকার গাফফার মোল্যার ছেলে। তবে সে দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ শহরের উদয়পুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছে। তার নানা বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার পিড়াগাতী গ্রামে। অন্যদিকে নিহত সাকিব মাগুরার ফুলবাড়ী গ্রামের মোঃ শামীম হোসেনের ছেলে। সে ঝিনাইদহ শহরের উদয়পুর গ্রামে নানা ওসমান লস্করের বাড়িতে থাকতো। সেখান থেকেই শুরু হয় তাদের সখ্যতা। দু’জন মিলে করতো ছোটখাটো চুরি।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসকল তথ্য জানান ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বিপিএম পিপিএম(বার)।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের পাটক্ষেতে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিন রাতেই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার শাকিল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি মরদেহ শনাক্ত করেন এবং নিহত কিশোর তার ভাগনে বলে জানান তিনি।
শাকিল আহমেদ জানান, গত ১জুলাই মনির মোল্যার সাথে সাকিবকে ঘুরতে দেখেন তিনি। পরে তার নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মনির মোল্যাকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে মনির।আসামির জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, ৪-৫মাস আগে উদয়পুর গ্রামে দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। সাকিব গ্রামে রটিয়ে দেন মনির মোবাইল ফোন দুইটা চুরি করেছে। এ ঘটনায় গ্রামের লোকের কাছে মার খাওয়ার ভয়ে এলাকা ছেড়ে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকে মনির। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকায় ফিরে আসে সে। সেই থেকে মনে মনে সাকিবকে হত্যার ছক কষতে থাকে মনির। ১জুলাই উদয়পুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে সাকিবকে ডেকে নেয় মনির সেইসাথে সাকিবের সঙ্গে ছাগল চুরি করতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এর আগে ওইদিন দুপুরবেলা বাড়ি থেকে একটি দা এনে বিসিক এলাকার একটি দোকানের নিচে লুকিয়ে রাখে মনির। রাতে সাকিব বিসিক মোড়ে পৌছালে দুজন বিসিক মোড় থেকে একটি ব্যাগে করে দা, দুই প্যাকেট বিস্কুট, এক বোতল পানি, দুটি কনডম, সিগারেট, কাঁচি নিয়ে বাইসাইকেলে করে আড়ুয়াকান্দি উত্তর পাড়ার একটি পাটক্ষেতে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে কখন রাত আরও গভীর হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত গভীর হলে তবেই চুরি করবে ছাগল। অপেক্ষা করতে করতে সেখানে দুজন গাঁজা সেবন করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করে ঘুমিয়ে পড়লে পাটক্ষেতের আইলের উপরে মনির দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সাকিবকে। হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।মনিরের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।

সর্বশেষ - আলোচিত

Design and Developed by BY REHOST BD