কোহিনূর আলম: নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় নতুন বাস স্ট্যান্ডে স্টপিজ যাত্রীবাহী হীরন এন্টারপ্রাইজ বাসে রাতের অন্ধকারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ২ টা থেকে ৩ টার সময় কে বা কারা উপজেলা নতুন বাস স্ট্যান্ডে থাকা হীরন এন্টারপ্রাইজে এ অগ্নিসন্ত্রাস ঘটায় বলে জানা যায়।
এতে বাসটি প্রায় সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট সুত্র। জানা যায়, হিরন এন্টারপ্রাইজ বাসটি মূলত মদন উপজেলার উচিতপুর থেকে চট্টগ্রামের নারকেলতলা পর্যন্ত যাত্রীসেবা দিয়ে থাকত।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন,জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেন, সহকারী সার্কেল পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ ফারাবী, কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ আসাদুল হক ভূঞা সহ গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশ ও বিজিবি টিম এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বাস স্ট্যান্ডে বাবুল স্টোরের ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক মিয়া জানান, রাত তিনটা বা সাড়ে তিনটার দিকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাকে ডেকে ঘুম ভাঙায়। ওঠে দেখি বাসটি পুড়ে গেছে একেবারে। তারপর পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে হিরনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে আানি।
হিরন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ হিরন মিয়া বলেন,কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগ করেছে জানি না। এ ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলবো সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করা হোক।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক জানান, হিরন এন্টারপ্রাইজে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি। যে বা যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেনো তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।