কাওছার হোসেনঃ কেশবপুর উপজেলার ৪ নং বিদ্যানন্দকাঠি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামে পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে স্কুল ছাত্র আব্দুর রহমান (৮) নিহতের ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনের ২ দিনের রিমান্ড পরবর্তী বেরিয়েছে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।সোমবার (১৯ এপ্রিল) জানা গেছে, দুই দিনের রিমান্ডে যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। শুক্রবার সকালে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে কেশবপুর থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামে ওই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফারুকের আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারী ও সহযোগীদের সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আটক এড়াতে ঘটনার সাতে জড়িত অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে । ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার বাউশলা গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী নিলুফা বেগম প্রতি দিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ীর পাশের মাঠে তাদের স্যালো মেশিনে পানি উঠছে কিনা তা দেখতে যায়। এসময় মোস্তফার টোঙ ঘরে স্যালো মেশিনের পাশে পরিতাক্তবস্থায় একটি কৌটা পড়ে থাকতে দেখে কৌটাটি হাতে করে নিজ বাড়ীতে আনে। দুপুরের দিকে নিলুফা, তার ছেলে আব্দুর রহমান ও মেয়ে মারুফা মিলে কৌটাটি খোলার চেষ্টাকালে সেটি বিষ্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলে ছেলে আব্দুর রহমান (১০) নিহত হয়। মারাত্বকভাবে আহত হয় নিলুফা (৩০) ও শিশু কন্যা মারুফা(৪)।
পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌছে স্যালো মেশিন ঘরে রেখে যাওয়া বোমার সূত্র খুজতে গিয়ে পাশ্ববর্তি ওই যুবলীগ নেতার ঘেরের টোং থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে বোমার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হোসেনকে সন্দেহভাজন ভাবে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রের চাচা সিরাজুল ইসলাম গত ১৫ এপ্রিল কেশবপুর থানায় মামলা করেন। যার নং-৭। স্থানীয়রা জানায় , ফারুক হোসেন নামে ওই যুবলীগ নেতা মতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ওই গ্রামের মোস্তফার মৎস্য ঘেরটি দখলে নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেন। বিস্ফোরনে শিশু নিহতের পরে পুলিশ ওই ঘেরের টংঘর থেকে বেশ কিছু ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে।স্থানীয়রা আরও জানান, টংঘরে বহিরাগতরা নিয়মিত আড্ডা ও মাদকসেবন করে। এছাড়া বিরোধপূর্ণ ঘের দখলে রাখতে হয়তো সেখানে ককটেল রতি ছিল।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন বলেন, বোমা বিস্ফোরনে স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ দিনের রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের লক্ষে থানা পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।