সালাহ উদ্দিন সৈকতঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাটি কাটার ভেকু দিয়ে আট-আনা পাকা ধান নষ্ট করে দুটি রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে।মঙ্গলবার দুপুরে কৃষক তাদের ক্ষেত্রের ধান নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে সমাধান চেয়ে প্রতিবাদ জানান সাধারণ কৃষকরা।এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে ধান কাটার পর রাস্তার কাজ করার জন্য আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সূত্রে জানা গেছে,কালিয়াকৈর উপজেলার মেদীআশুলাই,নামাশুলাই,খালপাড়, গর্জনখালী,আষাড়িয়াবাড়ি গ্রামের মাঝখানে মেদীআশুলাই নামে একটি বিল রয়েছে।প্রতি বছর ওই বিলে এসব গ্রামের হাজার হাজার কৃষক ধান চাষ করে আসছে।ওই ধান গোলায় তোলে এবং বিক্রি করে কৃষকরা তাদের জীবিকা নির্বাহ ও পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষন করে আসছেন। গরীব অসহায় কৃষকরা কোন মতে ফসলি এসব ধান বিক্রি করে সংসার চালানোর পাশা-পাশি ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগান।
ওই বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মেদীআশুলাই-নামাশুলাই যাতায়াতের জন্য আঞ্চলিক সড়ক।সম্প্রতি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্ধে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের তদারকিতে ওই সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে।এ কারণে দু-পাশের আধা পাকা ধান ভেকু (স্কেভটর) দিয়ে ধান ক্ষেত্র নষ্ট করে ওই সড়কে মাটি ভরাট করে প্রশস্ত করা হচ্ছে।এতে মেদীআশুলাই,নামাশুলাই ও খালপাড় গ্রামের কৃষকদের শতাধিক মেট্রিক টন ধান নষ্ট হবে এবং কৃষকের উৎপাদন আগের থেকে অনেক কমে যাবে।
এ ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে কৃষকরা গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে।এ সময় তারা ওই কর্মকর্তার কাছে পাকা ধান কাটার পর রাস্তার উন্নয়ন কাজ করার জন্য আবেদন করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রাশেম বেপারী,মোসলেম উদ্দিন,স্বপন বেপারী,সাকিব পালোয়ান,আব্বাস আলী,জুলহাস বেপারী,মোজাম্মেল হক,রাজ্জাক বেপারী জানান,ভেকু দিয়ে আধা পাকা ধান নষ্ট করে আমাদের কৃষি জমির মাটি কেটে রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।এতে আমাদের শতাধিক মেট্রিক টন ধানের ক্ষতি হবে।তবে ২০-২৫ দিন পর ওই অল্প রাস্তার কাজ করলে আমরা সব কৃষকগন ধান কেটে ঘরে উঠাতে পারবো।এজন্য আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কয়েক দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেছি।
এছাড়াও উপজেলার বেনুপুর এলাকায় আধা-পাকা ধান নষ্ট করে একটি সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে।এতে ওই এলাকার শত-শত কৃষক ক্ষতির মুখে পড়ছে।তাদেরও দাবী,ধান কেটে নেয়ার জন্য কিছু দিন সময় দিয়ে রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হক।এতে ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে সাধারণ কৃষক।কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন গণমাধ্যম কে জানান,মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে ধাঁন কাটার জন্য কৃষকদের কিছুদিন সময় দেওয়া যায় কিনা সে চেষ্টা করা হচ্ছে।