কালিয়াকৈর প্রতিনিধিঃ কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ঢালজোড়া ইউনিয়ন ও এর আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক মাত্রায় লোডশেডিংয়ের কবলে হাজারো মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম, শিক্ষা এবং প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও। তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ।
দ্বায়িত্বশীলরা বলছে, বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে থাকা গাছ কাটা, পুরাতন খুটি অপসারণ এবং পুরাতন লাইন আধুনিকায়নের জন্য বেশ কিছু দিন ধরে দিনের বেলা বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে কাজ করেন তারা। কিন্তু ব্যস্তবতা একটু ভিন্ন, কাজের জন্য দিনের বেলা বিদ্যুৎ না থাকাটা স্বাভাবিক হলেও সন্ধ্যা ও রাতের সময় প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না। সম্প্রতি রমযানের শুরু থেকে সেহরি, ইফতার এবং তারাবির নামাজের সময় অনেকটা নিয়ম করেই যেনো লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের। সেহরি বা তারাবির মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেনো বিদ্যুৎ থাকে না এমন প্রশ্ন হাজারো মানুষের। দিনের বেলা বিদ্যুৎ লাইনের কাজের জন্য লোডশেডিং সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হলেও তারাবির বা সেহরির সময় বিদ্যুৎ না থাকা চরম দ্বায়িত্বহীনতা ও বেমানান যা ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে ।
এর বাইরেও দ্বায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আকাশে মেঘ জমলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, অল্প জোরে বায়ু প্রবাহের সময় বিদ্যুৎ না থাকা, বিশেষ দিন কিংবা বিশেষ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ রয়েছে । কয়েক বছর আগেও যেখানে লোডশেডিং নিয়ে মানুষের মনে কোনো অভিযোগ ছিল না সেখানে দেশের এমন অগ্রযাত্রার সময় এতো ব্যাপক মাত্রার লোডশেডিং কেনো হচ্ছে এবং রমযান বা ঈদকে কেন্দ্র করে এতো বেশি লোডশেডিং কেনো হয় এমটাই প্রশ্ন সবার মনে। এমতাবস্থায় রমযানের গুরুত্ব ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে কাজ করার নির্দিষ্ট সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রেখে বাকি সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি সাধারণ মানুষের।