আলী সোহেলঃ“সংবাদ প্রকাশের জের” কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সুলতান মাহামুদের ইন্দনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে Fahim Faysal নামক একটি আইডি থেকে একটি লিখা পোষ্ট করে কুলিয়ারচর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক পূর্বকণ্ঠ ও সাপ্তাহিক দিনেরগান পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মুহাম্মদ কাইসার হামিদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফাহিম ফয়সাল কুলিয়ারচর পৌর এলাকার পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের চিহ্নিত মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী বলে জানা যায়।
গত ১৮ জুলাই রোববার দৈনিক পূর্বকণ্ঠ পত্রিকায় “কুলিয়ারচরে এক গৃহবধূ ধর্ষণের চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের মামলা করতে গিয়ে মাদক মামলায় গ্রেফতার” ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে “ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করতে গিয়ে মাদক বিক্রির অভিযোগে এক গৃহবধূ গ্রেফতার” শিরোনামে সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদের একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্ষিপ্ত হয় ওসি একেএম সুলতান মাহামুদ। এরই জের ধরে গত শুক্রবার (৩০জুলাই) দুপুরে Fahim Faysal নামক ফেসবুক আইডি থেকে https://m.facebook.com/story. php?story_fbid= 1444362555918517&id= 100010343596943 এ লিংকের মাধ্যমে ওই ওসি একটি পোষ্ট করান। যাহার আংশিক তুলে ধরা হলো।
” আজকে দেখতেছি সাংবাদিক কায়সার হামিদ যাকে বদমাশ এবং দালাল বলে পরিচিত সে দেখতেছি কুলিয়ারচর থানার শ্রেষ্ঠ ওসি সুলতান মাহমুদ স্যার যাকে কুলিয়ারচরের আপামর জনতা চেনেন, উনার যদি সমস্যা থাকে তাহলে সম্ভবত উনি কট্টর আওয়ামী পন্থী এবং পাপন ভাইয়ের অনুগত এইটাই সমস্যার কারন, যাইহোক সাংবাদিক কায়সার হামিদের এতবড় স্পর্ধা বেগানা নারীর বিষয়টা সামনে এনে ওসি স্যারকে হেনস্তা করার কাজে লিপ্ত সাংবাদিক কায়সার, আর যাইহোক তোর মত সাংবাদিকের মাইরে বাপ তোকে যেখানেই পাবো কুত্তা বাইরানি বাইরাবো পড়ে যা হবার হবে।
আর নেতা আপনাকে বলছি শুনুন অনেক হয়েছে কাউয়া ও তৈল বাজদের রাজনীতি অনেক হয়েছে এখন তাদের আর চেনার বাকি নাই, তাদের মধ্যে কয়েকজন ব্যাক্তি যেমন জহির বিন রাহুল, সৈয়দ কালিদ সাইফুল্লাহ তুরান, গৌতম ঘোষদের মত অস্তিত্ব হীন রাজনীতির কর্মীদের জন্য জিসান ভাইকে, অসহায় গরিবমানুষদের একমাত্র আশ্রয়স্থল রাসেল ভাইকে অতি সহজেই ব্যবহার করে প্রিয় কুলিয়ারচরটাকে কলংকিত করেছে। এইসব কুলাঙ্গারদের হয় লাগাম টেনে ধরুন না হয় কুলিয়ারচর থেকে চিরতরে বিধায় নিতে বলেন, তা যদি না করতে পারেন তাহলে জিসান ভাই এবং প্রিয় রাসেল ভাইকে আরো অনেক কিছুর কলঙ্ক নিজের মাথায় নিতে হবে। আর আমাদের প্রিয় রাসেল ভাই ছিলো, আছে এবং শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগমুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের মাঝে থাকবেন।
এই পোষ্টের একটি কমেন্টে Kamriul Hassan Kamrul Hassan কে উদ্দেশ্য করে Fahim Faysal লিখেছেন “কিসের ষড়যন্ত্র, ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান যে কি জিনিস তা শুধু তারাই যানে কুলিয়ারচর উপজেলা বাসি তো পড়ে জিসান মিয়ার শুধু ঢাকার বাহিনীর ভয়াবহ টান্ডপ লিলা ঠেকানোর মত ক্ষমতাএমন দুই চার পাচ জন নেতার পক্ষে মোটেও সম্ভব না, আর চট্টগ্রাম, খুলনা পোটোয়াকালির বাহিনীর কথা না হয় বুঝে নিবেন”একই পোষ্টে Najrul Islam একটি কমেন্ট করে লিখেছেন “ফয়সাল তুমি অযথা বাড়াবাড়ি করতেছো তোমার এসব উস্কানিমূলক কথাই অনেক সমস্যা হবে তুমি যেগুলো করতেছো সেগুলো আওয়ামী লীগের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী যদি হয়ে থাকো তাহলে কথাগুলো উড্রো করো আর ভবিষ্যতে এ ধরনের কথা বলবেনা”।
মুহাম্মদ কাইসার হামিদের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে ওসি একেএম সুলতান মাহমুদ থানার কনস্টেবল মো. সাইফুল ইসলাম মোল্লার মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা বেশ করেকজন সন্ত্রাসী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো তাকে সহ তার সহকর্মীদের । অবশেষে শুক্রবার দুপুরে কুলিয়ারচর পৌর এলাকার চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ফাহিম ফয়সালকে দিয়ে Fahim Faysal ফেসবুক আইডি থেকে ওই সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারার হুমকি দেওয়ান ওসি । এ হুমকি দেওয়ার পিছনে ওসি সহ আরো শক্তিশালী টিম কাজ করতে পারে বলে অনেকের ধারণা। কেননা ইতি পূর্বে সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ ন্যায়ের পক্ষে লিখতে গিয়ে ওসি, দারোগা সহ অনেকের বিরুদ্ধে লিখাগুলো চলে গেছে। এতে অনেকেই তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে।
সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ বলেন, ফাহিম ফয়সাল থানার কোন স্টাফ নয়। তার সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। কোন দিন ঝগড়াও হয়নি। তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদও প্রকাশ করিনি। তাহলে সে কেন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওসি একেএম সুলতান মাহামুদের পক্ষ নিয়ে আমাকে মারার হুমকি দিবে? আমার লিখা অনেক নিউজ ওসি, দারোগা সহ অনেকের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় ওসি সহ তার হিতাকাঙ্ক্ষীরা ফাহিম ফয়সালকে ব্যবহার করে আমাকে এ হুমকি দিয়েছে। এসব সংবাদ প্রকাশ করার জেরে আমার কোন কিছু হলে এর দ্বায়ভার ওসিকেই নিতে হবে। কারণ তার ইন্দনেই অন্যরা আমাকে মারা প্লান করছে। বিষয়টি রাতেই ফোনে থানার ডিউটি অফিসারকে এসআই মাসুদ সাহেবকে জানানো হয়েছে।
ফাহিম ফয়সালের পোষ্ট দেখে সাংবাদিক সমাজ ফুঁসে উঠেছে। এ হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইন্দনদাতা কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সুলতান মাহামুদ সহ ফাহিম ফয়সালের বিচার দাবী করে সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে “প্রথম আলোর” সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারণেই তিনি আক্রোশের শিকার হয়ে অপদস্ত হয়েছিলেন কিন্তু সাময়িকের জন্য। সাংবাদিক সমাজ কিন্তু ফুঁসে ওঠে ছিলো, আপনি ভয় পাবেন না, সাংবাদিক সমাজ আপনার পাশে আছে, আপনার অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য কারো গায়ে হয়তো আঘাত লেগেছে কেউ যদি মনে করে সাংবাদিক কাইসার হামিদকে একটা কিছু করে ফেলবে, সাংবাদিক সামাজসহ অন্যরা কিন্তু বসে থাকবে না।