বেলহাজ উদ্দিন বাঁধন।।বড়াইগ্রামে দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন-মেরিগাছা অভিমুখে দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়া। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পূর্বাচল ট্রেডার্স ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪০ টাকা ব্যয় বরাদ্দে রাস্তাটি নির্মাণের দায়িত্ব পান। পরে সাব-ঠিকাদার মিল্লাত হোসেন মিঠু কিনে নিয়ে কাজটি করছেন। সূত্রে জানা যায়, বিলের মধ্যে রাস্তার এ অংশটুকু খুবই ভাঙাচোরা হওয়ায় পুনরায় সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারে এক নম্বর ইটের খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারের লোকজন ইটভাটার ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় পড়ে থাকা দুই ও তিন নম্বর ইট কিনে খোয়া বানিয়ে সেগুলো রাস্তায় দিচ্ছেন। এসব খোয়া সাধারণ ভ্যান-রিকশার চাপেই ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া রোলার করার পর এসব নিম্নমানের মোয়া ভেঙে একেবারে পাউডার হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা এসব খোয়া ব্যবহারে প্রতিবাদ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি।মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। এ সময় সেখানে লালপুর উপজেলার একটি ইটভাটা থেকে আরও এক ট্রাক নিম্নমানের খোয়া নিয়ে আসেন ঠিকাদারের লোকজন। তবে সংবাদকর্মীদের দেখে সেখানে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যসহকারী রফিকুল ইসলাম ওই ট্রাকের খোয়া রাস্তায় দিতে নিষেধ করে তা ফেরত পাঠাতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের লোকজন তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এর ঘণ্টা খানেক পরে সাব-ঠিকাদার নিঠু নিজে সেখানে এসে নিষেধ উপেক্ষা করে ওই ট্রাকের নিম্নমানের খোয়া আবারও শ্রমিক দিয়ে রাস্তার ফেলেন। জানতে চাইলে সেখানে থাকা ঠিকাদারের প্রতিনিধি মাসুম আহমেদ বলেন, ভালো ইটের সঙ্গে কিছু দুই নম্বর ইটের খোয়াও ভাটা থেকে দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি নিয়ম মেনে তো আর কাজ করা যায় না।নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা কার্যসহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এসব খোয়ার মান খারাপ হওয়ায় প্রকৌশলী স্যার ও ঠিকাদারের কাছে অভিযোগ করেছি। তারপরও তারা খারাপ খোয়াই নিয়ে এসে রাস্তায় দিচ্ছে।