বেলহাজ উদ্দিন। ।  বাঁধন নাটোরের বড়াইগ্রামে পশু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় চার শতাধিক হাঁস মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত এগুলোর মৃত্যু হয়। খামারের সাত শতাধিক হাঁসই মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে শনিবার পশু চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম (২৯) হাঁসগুলোকে ইনজেকশন পুশ করেন।  রোববার সকালে খামারি ফরজ আলী গিয়ে দেখেন শত শত হাঁস মরে পড়ে আছে। এ সময় তিনি চিৎকার করে কান্না শুরু করলে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন। ফরজ আলী উপজেলার পারকোল মৎস্যজীবীপাড়ার সোবাহান আলীর ছেলে। ফরজ আলীর বলেন, ‘হাঁসের রোগ ধরতে পারে নাই, তো চিকিৎসা কেন দিল ওই ডাক্তার। আমি এখন সর্বস্বান্ত। সব ডিম পাড়া হাঁস ছিল। ৪০০ হাঁসের দাম কমপক্ষে ২ লাখ টাকা। আরও হাঁস মারা যাবে। আমি এই ভুয়া ডাক্তারের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।’ পশু চিকিৎসক শরিফুল ইসলামের বাড়ি নওগাঁর ধামাইরহাটে। বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি এলাকায় মুরগির ফার্মে চাকরির সুবাদে কিছু চিকিৎসা রপ্ত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও থেকে।তিনি এলাকায় হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা দেন। খামারে হাঁসগুলোর প্লেগ ও কলেরা হওয়ায় ইনজেকশন পুশ করেন। এতে মারা যাবে, বুঝতে পারেননি তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, কথিত চিকিৎসক অবশ্যই ভুয়া। তিনি না জেনে, না বুঝে এ ধরনের চিকিৎসা দিতে পারেন না। এ কাজটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাঁকে ইউএনওর কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী খামারি ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।