ওসমানীনগরে সরকারি গাছ বিক্রি করে লক্ষ টাকা আত্মসাৎএর অভিযোগ।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
শরীফ আহমদ চৌধুরী।। সিলেটের ওসমানীনগরের পল্লীতে  সড়কের দুই পাশে থাকা ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ সহ  ক্রেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার  সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর বাজার হইতে বেরারাই, নলিকোনা, হলিমপুর প্রাইমারী স্কুল হইতে নুরপুর এবং  হলিমপুর মাদ্রাসা হইতে লামা গাভূরটিকি এলাকার সড়ক গুলোর  দুই পাশ হতে দীর্ঘদিন থেকে  বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড়  গাছ বিভিন্ন স্থান থেকে গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ উটেছে হলিমপুর গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস ছালিক এর বিরুদ্ধে।  সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায় রাস্তা গুলোর বিভিন্ন স্থানে কাটা গাছের মূল/শিকড় রয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল ছালিকের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান আমি রাস্তা  লিজ নিয়ে গাছ রোপন করেছি কেবা কারা আমার নামে গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমার জানা নেই। নলিকোনা গ্রামের ভূক্তভোগী  নেছাবর মিয়া বলেন হলিমপুর গ্রামের আব্দুল ছালিক অনুমুতি ছাড়া সরকারি সড়কের গাছ ও গাছের ডাল কেটে  বিক্রী করে এলাকার লোকজনের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার মানুষ সহ আমাকে হয়রানি করেছেন এবং সরকারি অনুমতি ছাড়া দীর্ঘদিন থেকে লিজ গ্রহনের নামে ছালিক মিয়া রাস্তার বিভিন্ন স্থান থেকে সুবিধা জনক সময়ে গাছ গুলো কেটে নিয়ে বিক্রি করিয়া আসছেন। এবিষয়ে হলিমপুর গ্রামের  মুরব্বি এলেমান মিয়া বলেন ছালিক মিয়া গাছ কাটেন ও বিক্রি করেন যে খরিদ করেন তার উপর  আবার  মামলা দিয়া চাদা দাবী করেন। বেরারাই গ্রামের রেজন মিয়া বলেন ছালিক মিয়া গাছ ও গাছের ডাল কাটিয়া বিক্রি করেন।  সিরাজা মিয়া বলেন ছালিক মিয়া এলাকার নিরিহ লোকজনের উপর মিথ্যা   মামলা দিয়ে হয়রানি করেন বলে জানান। নলিকোনা গ্রামের সুহেল মিয়া বলেন ছালিক মিয়া আমার কাছে গাছ বিক্রি করিয়া আবার আমার উপর মামলা দায়ের করেছেন। এবং  শত শত মানুষের উপর দীর্ঘদিন থেকে একাধিক মামলা দিয়া ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বড় অংকের টাকার মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা করার অনেক অভিযোগ রয়েছে। মুতিয়ারগাও,  হলিমপুর,  গাভূরটিকি, নুরপুর ও নলিকোনার কৃষকের অভিযোগ রাস্তার পাশে থাকা গাছের ডাল না কাটার কারনে কয়েক বছর হতে আমাদের ধানি জমিতে ফসল ফলাতে পারছিনা এতে আমাদের ক্ষতির কারন। উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মুতিয়াগাও এলাকায় গাছের ডাল কাটার বিষয়ে একজনের উপর জরিমানা করা হয়েছে তবে নেছাবর মিয়ার অভিযোগে বিষয়টি আমার নজরে আসে নাই আসলে তদন্ত ক্রমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে উপজেলা  ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আবেদন আমার দপ্তরে আসলে আমি দেখব তবে এলাকার কৃষকের অভিযোগ গাছের ডাল কাটা না হলে কৃষি জমিতে ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে।