কলমাকান্দায় জব্দকৃত বালু নিলামে প্রায় ছয় লাখ টাকায় বিক্রি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
 নাজমুলহুদা।। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় প্রায় ৩৩  হাজার ঘনফুট  জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি  করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি)  দিনব্যাপী এই আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নলছাপ্রা ও রংছাতি ইউনিয়নের নল্লাপাড়া ও বটতলা এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী একটি মহল। খবর পেয়ে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে নল্লাপাড়া এলাকা থেকে ৫০০ ঘনফুট, বটতলা থেকে ২ হাজার ৫০০ ও নলছাপ্রা থেকে ৩০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি)  দুপরে জব্দকৃত বালু নিলাম ডাকের সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। বালু নিলাম ডাকে উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান ভূইয়া প্রমুখ। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার সীমান্তবর্তী নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু এনে অন্যত্র বিক্রি করার উদ্দেশ্যে কলমাকান্দার বিভিন্ন  এলাকায় স্তূপ করে রেখেছিল একটি চক্র। এ খবর পেয়ে গত গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ওই এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৩ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত বালু নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। নিলাম অংশ নেন মমতাজ উদ্দীন, মেহেদী হাসান রিফাত,  মোঃ মনসুর আলম, আকবর, সাইফুল ইসলাম, রাজন মিয়া,আলাউদ্দীন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন অজুহাতে কলমাকান্দা উপজেলায় পাহাড়ি নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বেড়ে গেছে । স্থানীয় প্রশাসন যদি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেন। তাহলে সরকারি কোষাগারে জমা হবে লক্ষ লক্ষ টাকা। উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বলেন, সাতদিনের মধ্যে বালু সরিয়ে নেওয়ার সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, খবর পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় ৩৩ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। পরে নিলাম ডাকে অংশ নেওয়া ৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা মমতাজ উদ্দিনের  নিকট ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকায় ওই বালু বিক্রি করা হয়েছে। নিলাম ডাকের প্রাপ্তি অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।