বরগুনায় মন্টুর শোকাহত পরিবারে পাশে জামায়েতের আমীর ড. শফিকুর রহমান দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৫ মোঃ শাহজালাল।। বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর আলোচিত মন্টু চন্দ্র দাশ হত্যার ঘটনায় শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমান। সোমবার (১৭ই মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে পৌঁছান তিনি। এরপর ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মন্টু চন্দ্রের স্ত্রীর সঙ্গে তাদের দৈনন্দিন দুঃখ-কষ্টের কথা শোনেন। বরগুনা পৌরশহরের কালিবাড়ী কড়ইতলা নামক এলাকায় নিহত মন্টু দাস ও ধর্ষিতা শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের আমির ডাঃ শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি নিহত পরিবারকে বিভিন্ন রকমের ফল ও ঈদ সামগ্রী সহ নগদ টাকা প্রদান করেন। নিহত মন্টু দাসের দেড় মাসের ছোট শিশু কন্যাটিকে কোলে নিয়ে তিনি বলেন, এই কন্যা শিশুটির বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের সকল ধরনের ভরন পোষনের ব্যবস্থা আমরা করব এবং আপনাদের সব রকম সহযোগিতা করার জন্য আমরা আপনাদের পাশে থাকব। জামায়াত আমির ডাঃ শফিকুর রহমান সকাল ১০ টার দিকে হেলিকপ্টর যোগে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে নেমে নিহত মন্টু দাস ও ধর্ষিতা নন্দিনী দাসের বাড়ীতে সমবেদনা জানাতে যান। পরে বরগুনা শহিদ মিনার চত্ত্বরে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর আমিরে শুভগম উপলক্ষে পথসভায় তিনি বলেন, বরগুনার আলোচিত শিশু ধর্ষন ও তার বাবাকে হত্যার এ ঘটনায় মামলার রায় ৯০ দিনের মধ্যে কাযকর করতে হবে। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলে আমরা মানব না। বরগুনা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবাকে হাড়ানো শিশুটির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি তাদের মেয়েদের লেখাপড়া এবং সংসারের অন্যান্য খরচ সংকলনের জন্য কিছু সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এ জন্য মন্টুর স্ত্রী শিখা রানী দাশকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দেন। এ সময় ডাঃ শফিকুর রহমানের সঙ্গে সফর করেন ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাড. মোজাম্মেল হোসেন হেলালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তিনি বেলা ১২টার পর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার আমীর মো. মহিবুল্লাহ হারুনসহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ১১ মার্চ রাতে বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি স্টাফ কোয়ার্টার দীঘির দক্ষিণ পাশে ঝোপঝাড় থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা করেন। মন্টু চন্দ্র বরগুনা বাজারের একটি মুরগির দোকানে কর্মচারী ছিলেন। তার পরিবারে দেড় মাসের এক কন্যা শিশু, চার বছরের এবং ১২ বছরের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। মন্টুর পরিবারের দাবি, তার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে মন্টু বরগুনা থানায় মামলা করার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মন্টুর স্ত্রী আরেকটি মামলা করেছেন। অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সৃজীব চন্দ্র রায়, তার সহযোগী কালু ও রফিক গ্রেপ্তার হয়েছে বর্তমানে কারাগারে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: