পুলিশের তাড়া খেয়ে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ঠিকাদার নিহত

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪

শামীম হোসাইন রিগান,মঠবাড়িয়া। মঠবাড়িয়া পুলিশের তাড়া খেয়ে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ঠিকাদার নিহত পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুলিশের তাড়া খেয়ে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে হালিম মৃধা (৪4) নামে এক ঠিকাদারের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১টার দিকে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত এক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ঠিকাদারের পরিবারের দাবি পুলিশ ও মামলার বাদী মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।নিহত হালিম মৃধা মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজনগর মহল্লার আব্দুল মন্নান মৃধার ছেলে। জানা গেছে, ঠিকাদার হালিম মৃধার সঙ্গে নুরুজ্জামান নামে অপর এক ঠিকাদারের অর্থ লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় নুরুজ্জামান আদালতে হালিম মৃধার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।পরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ বুধবার রাত ১টার দিকে হালিম মৃধাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। এ সময় হালিম একই মহল্লায় তার আপন বোন রুমি বেগমের নিজ বাসায় অবস্থান করছিলেন। পুলিশ গোপনে সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায়।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঠিকাদার হালিম তিনতলা ভবনের ছাদে উঠে যায়।পুলিশও ভবনের ছাদের দিকে তাকে তাড়া করে। এরপর কী ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

তবে নিহত ঠিকাদার হালিম মৃধার মেজো ভাই মামুন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ রাত দেড়টার দিকে আমার বাসায় এসে আমাকে জোর-জবরদস্তি করে বলে, আপনার বোনের বাসার পেছনে কী যেন পড়ার শব্দ হইছে দ্রুত চলেন। এক প্রকার টেনেহিঁচড়ে পুলিশ আমাকে বোনের বাসার সামনে নিয়ে যায়। এ সময় মামলার বাদীকে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখি। পুলিশ আমাকে ভবনের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে বেড়ের ভেতর ভাইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখি। এরপর পুলিশ আমার ভাই ও আমার বাসায় রহস্যজনক কারণে তল্লাশি চালিয়েছে। এ সময় ভাইয়ের হাত-পা ভাঙা ও মুখমণ্ডলে রক্ত দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’ আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে তাড়া করে তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত হালিম মৃধার লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার নামে দুইটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ঘটনার সময় টহলরত পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা যেতে পারে। অন্য কোনো ঘটনা থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর
কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।