দফায় দফায় অভিযানে আটক হচ্ছে বিপুল পরিমাণে মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান; প্রায় প্রতিবারই পালিয়ে যাচ্ছে মাদক কারবারিরা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ শান্ত শিফাত।। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বড় গজনী এলাকায় আজ ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ভোরে মাদকবিরোধী এক সফল অভিযান পরিচালনা করেছে থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে ভারতীয় সাত ব্র্যান্ডের ৫৭০ বোতল মদ জব্দ করা হয়েছে যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০ লক্ষ্য টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে খবর আসে যে, বড় গজনী এলাকার সুবিনাথ সাংমার বাড়ির দক্ষিণ পাশে, সোলারঘরের সামনে পাহাড়ে একদল মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। সংবাদের সত্যতা যাচাই করে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আল আমিন এবং ওসি (তদন্ত) রবিউল আজমের সাহসী নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অংশ নেন এসআই হারুনুর রশিদ, এসআই হাসেম, এসআই বাপ্পা ঘোষসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা। অভিযান চালানোর সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সঙ্গে থাকা ভারতীয় মদের বোতলগুলো ফেলে পাহাড় বেয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭ ব্র্যান্ডের ৫৭০ বোতল মদ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. আল আমিন জানান, “জব্দকৃত মাদক দ্রব্যগুলো সংরক্ষণ করে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া, পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে. সীমন্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলাতে মাদক এবং অন্যান্য চোরাচালান অনেকটাই নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এমন অপতৎপরতা দমনে অভিযান জোরদার করা হলেও মাদক পাচারকারীরা ধরা ছোঁয়ার বাইড়ে আছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র। গত ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলার ছোট গজনী এলাকা থেকে মদ এবং খাড়ামুড়া এলাকা থেকে ২টি ভারতীয় গাভী উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই অভিযানেও কোন পাচারকরীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সানবীর হাসান মজুমদার জানান, গোপনে সংবাদ পেয়ে তাওয়াকুচা বিওপি’র ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বিজিবির ২টি টহলদল পৃথক অভিযান চালিয়ে ছোট গজনী এলাকা থেকে ভারতীয় ৪৯৭ পিস মদ এবং খাড়ামুড়া এলাকা থেকে ২টি গরু জব্দ করে। এসময়ও বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ও গরু চোরাকারবারি পালিয়ে যায়। জব্দকৃত মদের বাজার মুল্য ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২টি গরুর মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। লক্ষ্য করা গেছে যে, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ভারতীয় চোরাই মালামাল আটক হয় বটে। কিন্তু চোরাকারবারীরা থাকছে ধরাছোয়ার বাইরে। তবে ক্ষেত্র বিশেষ ধরা পড়লেও তারা বাহক। মূল চোরাকারবারী নয়। ফলে বন্ধ হচ্ছেনা শেরপুর সীমান্তে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান! SHARES সারা বাংলা বিষয়: