মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার ।। প্রখ্যাত সমাজসেবক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনুরাগী, সাহিত্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য জাকিউল হক জাকি আর নেই। গত ৩১ মে শুক্রবার, ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যা এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

জাকিউল হক জাকি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ ইসলামী চিন্তাবিদ, সমাজসেবক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত হন। পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রসারে তিনি সাহিত্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ১ জুন শনিবার, বেলা ১১টায়, নিজ জন্মস্থান আক্কেলপুর সরকারি এফ ইউ পাইলট হাই স্কুল মাঠে। জানাজায় সর্বস্তরের মানুষ, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, তার সহকর্মী ও অনুসারীরা সহ বিপুল সংখ্যায় মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং ঠাকুরগাঁও-১ আসনে এমপি পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৬ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ড. আব্দুল মান্নান, জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমির এবং জয়পুরহাট-১ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী এস এম রাশেদুল আলম সবুজ,আক্কেলপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শফিউল হাসান দিপু।

এছাড়া উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত নেতৃবৃন্দ, ধর্মপ্রাণ মুসল্লী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সাধারণ জনগণ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

জাকিউল হক জাকির জীবদ্দশায় সমাজ সংস্কারে ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদান ছিল। সাংস্কৃতিক জগতে তার বিচরণ ছিল সরব এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ। তিনি ইসলামী আন্দোলনের একজন সক্রিয় সংগঠক ছিলেন এবং তরুণ সমাজের মাঝে ইসলামি চেতনা জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

তার অকাল মৃত্যুতে জয়পুরহাট তথা দেশের ইসলামী আন্দোলন ও সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ও সহকর্মীরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।

জানাযা নামাজ শেষে তাঁকে তার পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।