চাটখিলে ডোবা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

মোঃ হানিফ।চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক রাজীব চন্দ্র পাল ও তার প্রতিবেশী শাহাদাত হোসেনের যৌথ মালিকানাধীন ডোবা নিয়ে পাল্লাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। উভয় পক্ষ সৃষ্টি বিরোধ নিরসনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

রাজীব চন্দ্র পালের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার প্রতিবেশী শাহাদাত হোসেন দীর্ঘদিন থেকে রাজীব চন্দ্র পাল কে সংখ্যালঘু হিসেবে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। শাহাদাত হোসেন ও রাজীব চন্দ্র পালের বসত ঘরের পাশে তাদের মালিকীয় ৮ শতাংশের ডোবায় প্রথমে শাহাদাত হোসেন তার ব্লিডিংয়ের বেসিকের পানি ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পাইক ঐ ডোবার সাথে সংযুক্ত করে। পরবর্তীতে রাজীব তার বাড়ির বেসিকের ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পাইক ঐ ডোবায় সংযুক্ত করে। কিন্তু রাজীব কেন পাইক লাইন ডোবায় দিয়েছে এনিয়ে শাহাদাত হোসেন বিরোধ সৃষ্টি করে।

এরপর শাহাদাত হোসেন সাহাপুর ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে রাজীবের বিরুদ্বে অভিযোগ দায়ের করে রাজীব সেফট্রি ট্যাংকির ময়লা শাহাদাতের পুকুরে ফেলে পানি ও মাছ নষ্ট করে। শাহাদাতের অভিযোগে প্রেক্ষিতে গ্রাম আদালত সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে আদেশ প্রদান করে। এরপর শাহাদাত ক্ষিপ্ত হয়ে রাজীবের কাছে বিভিন্ন লোক মারফতে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে চাঁদা না পেয়ে শাহাদাত রাজীব কে হয়রানি করতে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর হুমকি দেয়। পরবর্তীতে শাহাদাত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গত সোমবার অভিযোগ দায়ের করে। রাজীব দাবি করে, তাকে হয়রানি করতেই কেবল শাহাদাত বিভিন্ন সময়ে-সময়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।

অন্যদিকে শাহাদাত হোসেনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজীবের বাড়ির সেফট্রি ট্যাংকির ময়লা আবর্জনা শাহাদাতের পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে তার পানি নষ্ট হচ্ছে। তবে তিনি বিরোধীয় ডোবায় রাজীবের মালিকানার কথা স্বীকার করেননি।

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তের জন্য থানা পুলিশ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।