শি লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ঝুঁকছেন শিবগঞ্জের কৃষকরা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৪ মিজানুর রহমান ।।বগুড়ার শিবগঞ্জে আগাম ধান কাটার পর সেই জমিতে আগাম আলুর বীজ রোপণের কাজ করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা।গত বছর আলুর দাম ভালো পাওয়ায় তারা এবার আগাম আলু চাষে ঝুঁকেছেন।হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিন্তু আলুর বীজ সার কীটনাশক ও মজুরের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার আগাম আলু চাষে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আলু চাষিরা।তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগ বালাইয়ের তেমন কোনো প্রাদুর্ভাব না হলে দ্বিগুণ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবং তারা আশা করছেন অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমেই ভোক্তাদের কাছে নতুন আলু তুলে দিতে পারবেন।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,বিভিন্ন প্রকার জৈব ও রাসায়নিক সার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করছেন কৃষক। আবার কেউ জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে রোপণ করছেন। এক একর জমিতে ২৫ থেকে ২৭ মণ বীজ আলুর প্রয়োজন হয়।বিঘা প্রতি ৮০ থেকে থেকে ১১০ মণ আলুর ফলন হয়।বীজ আলু বপনের দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যেই আগাম আলু তুলে বাজারজাত করতে পারেন কৃষক।অগ্রহায়ণ মাসে আলু চাষের মৌসুম হলেও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আশ্বিন মাস থেকেই আগাম আলু চাষ করেন এই এলাকার কৃষকরা।পৌর এলাকার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কৃষক কাওসার বলেন, গত বছর ধান কাটার পর এক একর জমিতে আলু রোপণ করেছিলাম। সেই আলু বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। এবারও সমপরিমাণ জমিতে ক্যারেজ ও সেভেন জাতের আলু রোপণ করেছি। এতে খরচ গতবারের তুলনায় বেশি হয়েছে। আলু ফলন ও দাম ভালো হলে এই আলু বিক্রি করে লাভবান হবো বলে আশা করছি।বেড়াবালা ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক জামিল বলেন, আগাম জাতের এই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ দিনে তুলে বাজারজাত করা যায়। বাজারে আগাম জাতের আলুর চাহিদা এবং দাম বেশি পাওয়া যায়, লাভও ভালো হয়। এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। গতবারের তুলনায় খরচটা বাড়ছে। এবার বিঘাপ্রতি প্রায় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হবে। ভালো ফলন হলে দ্বিগুণ দামে আলু বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।কৃষক ইউনুছ বলেন, আগাম আলু লাগানো নিয়ে এক প্রকার প্রতিযোগিতা হয়। যার আলু যত আগে উঠবে, সেই কৃষক তত বেশি ভালো দামে বিক্রি করবে। মৌসুমের শুরুতে বাজারে নতুন আলুর চাহিদা থাকে প্রচুর। ভোক্তার কাছে আগাম দিতে পারলে চড়া বাজার মূল্য পেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার সার বীজের দাম বেড়েছে; তাই উৎপাদন খরচও বেড়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করছি, আগাম আলুর ফলন ভালো হবে।উপজেলা কৃষি অফিসার আল মুজাহিদ সরকার বলেন,কৃষকরা আগাম আলুর বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করে দিয়েছেন।শিবগঞ্জ উপজেলায় এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হবে ১৫০ হেক্টর জমিতে। কয়েকদিনের মধ্যে আগাম আলু বীজ বপন শেষ হয়ে যাবে।তিনি বলেন আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের সহযোগিতায় আলু চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করে আসছি।কৃষকদের পরামর্শ দিতে উপজেলা কৃষি দফতর সবমসময় প্রস্তুত বলে জানান তিনি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: