আখাউড়া ইমিগ্রেশনে সার্ভারে ধীরগতি যাত্রীদের ভোগান্তি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪

সুমন আহমেদ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভার দূর্বলতায় দু’দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রী পারাপারে ধীরগতি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই দেশের যাত্রীরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই এ সমস্যা দেখা দেয়। আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ রয়েছে। যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সার্ভার ধীরগতি হয়ে পরে।আমাদের সফটওয়্যার টেকনিক্যাল টিমের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি আমাদের ইমিগ্রেশনে যে সার্ভার রয়েছে সেইটির ধারণক্ষমতা কম থাকায় যাত্রীদের চাপে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে সময় নিচ্ছে।

ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে তিনটি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ডেস্কে বহির্গমন এবং এটিতে আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। বুধবার সকাল থেকে যাত্রী চাপ বেড়েছে। এতে করে সার্ভার দূর্বল হয়ে যায়। যে কাজ করতে ১-২ মিনিট লাগত সেখানে একই কাজ করতে সময় লাগছে ১৫-২০ মিনিট। এ সময় ভারত-বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে নারী শিশুসহ রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ে। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় বসার মতোপর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রোগী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া সিলেট মৌলভীবাজারের মো: মহসিন আলী বলেন,আমার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাচ্ছি, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টা যাবত লাইনে দাড়িয়ে আছি। কাজ হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। আমার মা তো বৃদ্ধ। তার উপর অসু¯’ মানুষ। এখানে বসার কোন পরিবেশ না থাকায় বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কষ্ট করতে হচ্ছে। সিলেটের ঈষিতা দেব রায় জানান, পরিবার নিয়ে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছি। সকাল সাড়ে দশটায় ইমিগ্রেশনে এসে সার্ভার ধীরগতির কারনে বিড়ম্বনায় পরেছেন। দেশ উন্নত হয়েছে। কিন্তু এই দিকটাতে সরকারের নজর দেওয়া উচিত। সিস্টেমগুলো আরো আপডেট হওয়া প্রয়োজন।