আড়িয়ামুগুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হল বাসন্তী পূজা ও শতবছরের ঐতিহ্যবাহী ভগবতী মেলা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৫ রামকৃষ্ণ তালুকদার।। বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে আড়িয়ামুগুর গ্রামবাসীর সার্বিক সহায়তায় উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসন্তী পূজা ও শতবছরের ঐতিহ্যবাহী ভগবতী মেলা। এই মেলায় আগে মহিষ বলি হতো, দর্শনার্থীদের ভীর হতো।কয়েক বছর যাবত মহিষ বলি নিষিদ্ধ হওয়ার কারনে আগের মতো জমজমাট হয়নি মেলা। বিকাশ বৈষ্ণব নামে এক দোকানদার জানায় সারাদিনে মাএ তিন হাজার টাকা বেচাকিনা করছে।এবছর লোকের সমাগম তেমন নেই। প্রতি বছর চৈত্র মাসে আয়োজিত এই পূজা আড়িয়ামুগুর গ্রাম জুড়ে এনে দেয় এক অনন্য ধর্মীয় আবহ ও আনন্দময় পরিবেশ। শুক্রবার থেকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে সপ্তমী বিহীত পূজার মধ্য দিয়ে। সকাল থেকেই পূজা মণ্ডপ মুখরিত হয়ে ওঠে উলুধ্বনি, ঢাক-ঢোল, কাঁসর, ঘণ্টা ও শঙ্খধ্বনিতে। পুরোহিতরা মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানান, আর ভক্তরা ভরে ওঠেন ভক্তিরসে। শনিবার অনুষ্ঠিত হয় মহাঅষ্টমী পূজা, রবিবার সকালে নবমী পূজা এবং সোমবার সকালে পুষ্পাঞ্জলি ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এই বাসন্তী পূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে। বাসন্তী পূজাকে ঘিরে সনাতনী সমাজের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভক্তরা মন্দিরে উপস্থিত হয়ে দেবীর চরণে প্রণাম নিবেদন ও পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের ইহকাল, পরকাল এবং পারিবারিক সুখ-শান্তির প্রার্থনা করেন। পুরাণ মতে, সুরত রাজা তার হারানো রাজ্য ফিরে পেতে বসন্তকালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন। সেই বিশ্বাস থেকেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে ও কল্যাণের কামনায় প্রতি বছর এই সময় বাসন্তী পূজার আয়োজন করে আসছেন। SHARES সারা বাংলা বিষয়: