সাঘাটায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত দিন পার করছে কৃষকরা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৫ ইমন মিয়া।। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে তীব্র তাপপ্রবাহে উপজেলা ও ইউনিয়ন গুলোতে এ বছর বোরো ধানের সোনালি আভা ছড়িয়েছে। যে দিকে চোখ যায় দিগন্ত জুড়েই সবুজ ধানক্ষেতে ছেয়ে আছে, যতদূর চোখ যায় সোনার রঙে রঙিন ধান আর ধান।সাঘাটা উপজেলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত দিন পার করছে কৃষকরা। কর্মক্ষেত্রে সকলের ছুটি থাকলেও কৃষকদের কোনো ছুটি নেই, একটার পর একটা কৃষি কাজ লেগেই থাকে। আর সেই কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। ধানের বাম্পার ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোথায়ও কৃষি শ্রমিক, কোথায়ও আবার সরকারের ভর্তুকি দেয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই কাজে কৃষি কর্মকর্তাগণ পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়ায় উপজেলার কৃষকদের মাঝে এক ধরনের উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সাঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ১৪ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় জাতের ৫৭ হেক্টর, হাইব্রিড ৬ হাজার ২৮৮ হেক্টর, উফসী ৭ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এপ্রিলের ৭-৮ তারিখ থেকে উফসী ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর আজ থেকে হাইব্রিড ধান কাটা শুরু হয়েছে।কৃষকরা জানান, এ এলাকায় ধান কাটা শ্রমিকের সংকট রয়েছে। এতে অনেক কৃষক ধান কাটা, মাড়াই ও শুকাতে তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছেলে মেয়েদেরকে যুক্ত করছেন।সাঘাটা ইউনিয়ের বিলবস্তা গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি ৪ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ করেছেন। তিনি প্রতি বিঘায় ২৪ থেকে ২৫ মণ ধান পেয়েছেন।বোনারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল আহমেদ সুমন বলেন, তিনি এ মৌসুমে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় তাহলে বোরোর বাম্পার ফলন আশা করছেন তিনি।কচুয়াহাট গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। ভালো ফসল ঘরে তুলবেন এমনটা আশা করছেন তিনি। সাঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ খালেদ মাহমুদ জানান, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো সঠিক পরামর্শ দেয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরও এ বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হবে।সোনালি ধান যখন মাঠে পাকে, তখন সেটি শুধু কৃষকের ঘরে ফসল নয়, বরং একটি জনপদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে ওঠে। আশা করি এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও সাঘাটায় বেশি অর্জিত হবে। আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বোরো সোনালি ধান কৃষক ঘরে তুলতে পারবে। এই উৎসব যেন কৃষকের ঘরে হাসি বয়ে আনবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার। SHARES সারা বাংলা বিষয়: