উলিপুরে দেবে যাওয়া ব্রিজে ঝুকি নিয়ে চলাচল

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৫

মোঃ রেজাউল ইসলাম ।।

উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের রুপার খামারে বামনি নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রুপার খামার শোলেয়ারজাম এলাকায় মিনাবাজার থেকে মাঝবিল রাস্তায় মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের বাড়ির পূর্বে বামনি নদীর ওপর প্রায় ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৯২০ টাকা ব্যয়ে ৩৪ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি নদী খননের পর ব্রিজের সংযোগ সড়কের উইংওয়ালের নিচের মাটি ধসে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে পানি ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করলে ব্রিজের অংশ দেবে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, খননের ফলে সংযোগ সড়কের দুই পাশে মাটি ধসে পড়েছে। বর্তমানে ব্রিজটির সম্পূর্ণ অংশ দেবে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ধরনীবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাহান আলী, আইনুল ইসলাম ও রহিমা বেগম বলেন, ব্রিজটি ভরসা করে প্রায় ৩০ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এর মধ্যে রয়েছে রুপারখামার, বাড়াইপাড়া, হাজী পাড়া, জানজায়গীর, মধুপুর দালালীপাড়া, কামালখামার, কেকতিরপাড়া প্রভৃতি এলাকা। এছাড়াও জানজায়গীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেডিএবি বিদ্যালয়, লতিফ রাজিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, পানাউল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা ও আরও কয়েকটি হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করতেন।

রুপার খামার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল দাইয়ান (৩৮) বলেন, “আমি প্রতি সপ্তাহে এই ব্রিজের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে মসজিদে নামাজ পড়াতে যাই। গত সপ্তাহেও গিয়েছিলাম, কিন্তু এখন দেখি ব্রিজটি দেবে গেছে। স্থানীয়রা সাহায্য না করলে বাইক পার করতে পারতাম না।”

শিক্ষার্থীরাও জানান, ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় তাদের বিদ্যালয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। স্কুলে পৌঁছাতে দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হয়, ফলে সময় ও খরচ দুই-ই বাড়ছে। তারা দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) খন্দকার মো. ফিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরিদর্শন শেষে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”