দেবহাটার খলিশাখালিতে সেনাবাহিনীর অস্ত্র বিরোধী অভিযান, ৬জন আটকসহ অস্ত্র উদ্ধার, গনপিটুনিতে ডাকাত সদস্য নিহত।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৪

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানের সময় গনপিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে। শুক্রবার ভোররাতে খলিশাখালির মৎস্যঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেনাবাহিনী অস্ত্রসস্ত্রসহ ৬ ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃতরা সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পে আটক ছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা এ থানায় হস্তান্তরের কার্য্যক্রম চলমান আছে বলে জানা গেছে।অভিযানে আটককৃতরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীগঞ্জ গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল, কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী, একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ, আকরাম গাজির ছেলে রবিউল আউয়াল ও বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন। দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মাদ জানান, খলিষাখালিতে ১ হাজার ৩শ’ ২৮ বিঘা মৎস্যঘের নিয়ে বহুদিন ধরে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিশাখালিতে অস্ত্র নিয়ে মৎস্যঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া দিতে থাকে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিশাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ টি হাত বোমা, ৩০ টি ছোট, বারুদ,  ৫টি রামদা, বোমাই ব্যবহ্নত স্প্রিন্টারসহ বিভিন্ন দেশী অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতি সহ নানা অপরাধ করে আসছিল আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়, সাইফুল ইসলাম গাজীসহ তাদের বাহিনী।  সেই মোতাবেক দেবহাটার তিনটি অবস্থান থেকে এক সাথে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে। এমনকি দুর থেকে সেনাবাহিনী লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দারা কামরুল সহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে পিটুনি দেয়। পরে সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত কামরুল একজন অপরাধী এবং ডাকাত ছিলেন। অন্যান্য আটককৃত অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ৫টি রামদা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৭৫০ গ্রাম বারুদ, ৪টি মোবাইল ফোন, ১৫টি হাত বোমা, ৭ প্যাকেট হাত বোমাই ব্যবহৃত স্প্রিন্টার, ৩৮ টি হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে মৎস্যঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।