আলুতে সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
মো. মাসুম।। টঙ্গীবাড়িতে কৃষি জমিতে আলু রোপন মৌসুমে স্থানীয় কৃষকদের আলু রোপনে সুষম সার ব্যবহারের উপর প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ‘র কনফারেন্স রুমে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসেলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন থেকে আগত কৃষক, কৃষানি ও উদোক্তাদের সার্টিফিকেশন প্রশিক্ষন দেয়া হয়।
প্রশিক্ষক উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমতিয়াজ জাহান খান জানান, আলু চাষের জমি প্রস্তুতে শতাংশ প্রতি যে পরিমান ইউরিয়া সার দেয়া হয় তা চার ভাগের ২ ভাগ ছিটিয়ে পরবর্তী বীজ আলু রোপন করতে হবে। আলু রোপনের ২০-২৫দিন পর সেচ দেওয়ার সময় বাকি ১ভাগ ইউরিয়া সার এবং সর্বশেষ ৪৫-৫৫ দিনে ২য় বার সেচ দেওয়ার সময় বাকি ১শতাংশ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিতে হবে। তবে পরিমান মত টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও বোরন আলু জমি প্রস্তুতের সময় ইউরিয়ার সাথেই দিতে হবে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জয়নুল আবেদীন তালুকদার জানান, টঙ্গীবাড়িতে ৯ হাজার ৯৪ হেক্টর জমিতে আলু রোপন হচ্ছে। বছরের পর বছর অতিরিক্ত মাত্রায় সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। সুষম সারের ব্যবহারের মাধ্যমে জমির উর্বরতার মান বজায় রাখতে হবে।স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমরা গন্ডা প্রতি (৭ শতাংশ) ইউরিয়া ২০ কেজি, টিএসপি ২০ কেজি পটাশ ১০ কেজি সামান্য পরিমান জিপসাম ও বোরন ব্যবহার করি।মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, মাটির পুষ্টি উপাদান জেনে সার প্রয়োগ করতে হবে। আমরা স্থানীয় ভাবে মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছি। সে রিপোর্ট অনুযায়ী সার প্রয়োগ করলে এক তৃতীয়াংশ সার কম লাগবে। সারের ব্যবহার কমিয়েও ফলন ঠিক থাকবে। সারের ব্যবহার যৌক্তিক রাখতে হবে।