মোহাম্মদ শেখফরিদ  ।।   নোয়াখালী কােম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে (২০১৩) সালে (১৪) ডিসেম্বর জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদীহয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। মামলার অন্যতম আসামী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসাইন ফরহাদকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গত ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে ফেনী সদর নুর হোসাইন ফরহাদকে তার বোনের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে পুলিশ। অতপর নুর হোসাইন  ফরহাদকে কোম্পানীগঞ্জ থানার হত্যা মামলা মামলা নং (১৮) এর এজহার  ভুক্ত আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নুর হোসাইন ফরহাদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত নুর ইসলাম মেম্বারের ছেলে।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, নুর হ্যসাইন ফরহাদ একজন মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসেন ফরহাদকে  গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ।গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালিন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্য’সহ ১১২জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।