দিনাজপুরের বিরামপুরে সরিষা ফুল ছেঁড়া কেন্দ্র করে সংঘর্ষ মামলা নিতে অস্বীকার, প্রতিবাদে মানববন্ধন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৫ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ মন্ডল।। দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া (কলেজিয়েট স্কুল পাড়া) সরিষা ফুল ছেঁড়া কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সরিষা ক্ষেতের মালিক মো. তৌহিদুল ইসলামের অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৫ জানুয়ারি এ ঘটনার সূচনা হয়। সেনাবাহিনীর কমান্ডো আশরাফুল ইসলাম (বাবু) তার বাসায় আসা আত্মীয়দের নিয়ে রেললাইনের পাশে ঘুরতে যান। ঘোরার সময় তাদের সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিশু সরিষা খেতে নেমে ফুল ছিঁড়তে থাকে। সরিষা ক্ষেতের মালিক তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাদের এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তৌহিদুল ইসলাম এবং তার ছেলে দোলন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কমান্ডো আশরাফুল ইসলাম দোলনের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে দোলন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঘটনার পর দোলনের বাবা মো. তৌহিদুল ইসলাম স্থানীয় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় দোলনের বন্ধুরা এবং স্থানীয় ছাত্র জনতা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ১৯ জানুয়ারি, রবিবার, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আদর্শ স্কুলের সামনে শতাধিক মানুষ মানববন্ধন করেন। তারা মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদ জানান এবং দ্রুত মামলা গ্রহণের দাবি জানান। অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। মানববন্ধনের সময় বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা দ্রুত মামলা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এমন ঘটনা এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে। তাদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। সরিষা ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ এবং পুলিশের মামলার প্রতি গড়িমসির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং সঠিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন। সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে এলাকার শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয়রা। SHARES সারা বাংলা বিষয়: