নাগরপুরের বাংলা ড্রেজার বন্ধে মানববন্ধন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫ মামুন রাফী।। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়ন খাস গুনিপাড়া গ্রামের যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কার্যকরী কোন প্রতিকার না পেয়ে ড্রেজার বন্ধে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। উপজেলা প্রশাসন বলছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এসব অবৈধ ড্রেজার এর বিরুদ্ধে। সরজমিন দেখা যায়, যুমনা নদীর পাড়ে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সারি সারি বাল্কহেড উপরে বুস্টার মেশিন বসিয়ে চলছে বালু উত্তলোন।ভোগান্তিতে খাস গুনিপাড়ার এলাকাবাসী, তবে সবাই নীরব ভূমিকা পালন করছে। অনেকেই বলেন, লিখে কোন কাজ হবে না। এদের হাত ওনেক বড়। জানা যায়, মোঃ বদ্দু মিয়া, ওয়াসিম সিকদার, রহিম সিকদার এর নামে চালানো হচ্ছে বাংলা ড্রেজার। স্থানীয় বাসিন্দা মামুন হোসেন বলেন, আমাদের সহায় সম্পত্তি সব যমুনার করাল গ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে আমাদের আবাদি জমি, শুধুমাত্র বাড়ীটাই আছে। আমার বাড়ী ছাড়াও এখানে আরও অনেক লোকজন বসবাস করে। আমার বাড়ীর পিছনে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সন্ত্রাসী মোঃ বুদ্দু মিয়া, ওয়াসিম শিকদার, রহিম শিকদার ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা মিলে বালু উত্তোলণ করছে। যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাঁধ নির্মাণ করেছে, সেখানে কুচক্রী বালু খেকোরা তাদের পকেট ভারি করে আমাদের ভিটে মাটি ছাড়া করায় লিপ্ত। তাছাড়া আমার বাড়ী সহ আশেপাশের সবার বাড়ী হুমকীর মুখে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই। সে এলাকার সন্ত্রসী ও ডাকাত নামে পরিচিত। আমি তাদের বাধা প্রদান করলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন আমার পকেটে থাকে। আমার নামে অভিযোগ দিয়ে কিছুই করতে পারবি না। আমি স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তির নিকট বিষয়টি জানালে তারা কেউ মোঃ বদ্দু মিয়া, ওয়াসিম শিকদার ও রহিম শিকদারের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন। সলিমাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যান মোঃ মনির ভূঁইয়া বলেন, এরা সন্ত্রাসী, এরা তিন জন অনেক আগে থেকেই এই ধরণের অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই অবৈধ কাজে বাধা দিতে গেলে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেয়। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার এর জোর দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক জানান, এরই মধ্যে উপজেলার কয়েকটি স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করার কারণে ড্রেজার মেশিন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: