১৬ বছর ধরে প্রসূতি অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫ রাখী গোপাল দেবনাথ।। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট থাকায় প্রায় ১৬ বছর ধরে প্রসূতি অস্ত্রোপচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে হাওর বেষ্টিত নিকলী উপজেলার প্রসূতিরা কম খরচে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২০০৮ সালে ইউ,সি ভবনটি চালু হবার পর ১০ আগষ্ট থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৫টি প্রসূতি অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর থেকে অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। ব্যবহারের অভাবে বর্তমানে লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি অযত্নে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কার্যালয় সূত্র জানায়, অবেদনবিদ ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এবং স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ শল্যচিকিৎসক ডাঃ সেলিনা হক ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বদলী হয়ে চলে যায়। এর পর থেকেই এ পদ শূন্য । তখন থেকেই সেখানে প্রসূতি দের অস্ত্রোপচার বন্ধ। সরেজমিনে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি ) সকালে হাসপাতালে গেলে দেখা যায় ওটি কক্ষটি তালা দেওয়া। নিকলী ষাইটধার নিবাসী পলাশ সূত্রধর বলেন ডাক্তার না থাকায় সিজারিয়ান রোগীদের হাসপাতালে সিজার করাতে পারি না। কিশোরগঞ্জে প্রাইভেট হাসপাতাল সিজার খরচ বেশী।রোগী আনা নেওয়ার খরচ তো বাদই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিকলী উপজেলাসহ কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন ও করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়ন থেকে প্রতি বছর প্রায় ছয় শতাধিক রোগীকে কিশোরগঞ্জের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল পাঠানো হয় শুধু সিজার করার জন্য।সমাজসেবক হাজী মাসুক বলেন, জরুরি প্রসূতি সেবা বন্ধ থাকায়,কিশোরগঞ্জ সহ বিভিন্ন হাসপাতালে যাতায়াতের সময় প্রসূতি মায়েরা প্রাণ পর্যন্ত হারাচ্ছেন। ক্লিনিকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। এতে নিকলীবাসী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল মোমেন মিঠু বলেন, জরুরি প্রসূতি সেবা ও অস্ত্রোপচার কার্যক্রম চালু থাকলে প্রসূতি মায়েরা বিনা খরচে নিরাপদে এখান থেকে চিকিৎসা নিতে পারতেন। কিন্তু নিকলীবাসী প্রানের দাবী সরকারের লালফিতার দূরত্ব আটকে রয়েছে। নিকলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) পাপিয়া আক্তার জানান, ১৬ বছর ধরে নিকলীতে ডাক্তারের অভাবে প্রসুতি অস্ত্রোপচার হয়না, এটা দুঃখজনক। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবো।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সজীব ঘোষ বলেন, অবেদনবিধ এবং প্রসূতি সার্জন, লোকবল সংকট ও শূন্য পদে লোক চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কয়েকবার লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। এ দুই পদে চিকিৎসক, লোকবল নিয়োগ হলেই অস্ত্রোপচার শুরু হবে।কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: সাইফুল ইসলাম বলেন,নিকলীতে সিজারের সকল সেট আপ বিদ্যামান রয়েছে। কিন্তু লোকবলের অভাবে শুভ কাজটি শুরু করতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি এ সমস্যার সমাধান হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: