রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫

নিরব হাসান ইব্রাহিম।।  রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটকে রাখে ছাত্রাবাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২:৩০ মিনিটের দিকে মুসলিম ছাত্রাবাসের সামনে এক চায়ের দোকানে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করছিল মোঃ আতিকুর রহমান আতিক নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নজরে এলে তাকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার কাছে থাকা ফোন চেকিং করার পর স্পষ্ট হয় সে এখনো নিষিদ্ধ সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। আটককৃত আতিকুর রহমান রাজশাহীর বাগমারা থানার আঃ খালেকের ছেলে। সে রাজশাহী কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আতিক মুসলিম ছাত্রাবাসের বি-ব্লকের বাসিন্দা ছিল। সে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্তের কর্ম। সে শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হয়রানি চালিয়ে আসছিল। তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা গেছে, সে এখনো নিয়মিত ছাত্রলীগের বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে এবং সংগঠনটির বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে। রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীদের কোনোভাবেই কলেজ ক্যাম্পাসে বা ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আতিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এমন কাউকে দেখলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু: যুহুর আলী বলেন, আমাকে ছাত্ররা ফোন দেয় এবং বলেছে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধরে আটকে রেখেছে। আমি তখন সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন দেয় যাতে করে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা না ঘটে এবং পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। বোয়ালিয়া থানার ডিউটি অফিসার খাতামুন আম্বিয়া বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাজশাহী কলেজ পুলিশ ফারীর সদস্যরা আটককৃত আতিককে আমাদের হাতে হস্তান্তর করে। এখন পর্যন্ত তাকে কোন মামলা দেওয়া হয়নি তবে খুব শীঘ্রই তাকে চালান দেয়া হবে।