মেহেরপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের সোনালী মুকুল। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫ মেহেরপুরে বসন্তের সাথে সাথে আম গাছগুলোতে দেখা মিলছে প্রচুর আমের মুকুল ৷ মুকুলের মৌ- মৌ গন্ধে মুখরিত মেহেরপুর , মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার গ্রাম – গন্জ। মুকুল থেকে চলছে মৌমাছির মধু সংগ্রহের উৎসব ৷ মেহেরপুর সদর মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আম গাছগুলতে মুকুলে ভরপুর আম গাছে গুলোতে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। বাতাসে মুকুলের মৌ মৌ সুবাস বইছে। গাছে গাছে এখন আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। মুকুল গুলো যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে বাগান মালিকরা বাগান পরিচর্যার ব্যস্ত সময় পার করছেন।শোনা যাচ্ছে কোকিলের মিষ্টি সুরের কুহু কুহু ডাক আর মৌমাছির গুণ গুণ গানের গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। বসন্তের স্নিগ্ধতার মাঝেও শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল। মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাগান সহ কিছু কিছু বাড়ির উঠানে আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। বাতাসে মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। গাছের আমপাতার সবুজ বিছানায় মুকুলের সোনালি রেণু যেন ফুলশয্যা সাজিয়েছে ফাগুনকে। সেই সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে শীতকাল। তবে আবহাওয়ার ওপর আমের ফলন নির্ভর করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন আম চাষিরা। বাগান মালিকরা জানান, আগাম মুকুল দেখার পর তারা অনেক খুশি। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মেহেরপুর সদর খোসা গ্ৰামের আম বাগান মালিক হাবিবুর রহমান সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর ভালো মুকুল এসেছে আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো ফলন আসতে পারে। মুজিবনগর আম ব্যবসায়ী তরিকুলের সাথে কথা বলে জানা যায় , কয়েক বিঘা আমের বাগান কিনা আছে গত বছর আমার এই বাগান গুলোতে আমের মুকুল না আসায় অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে এবছর মুকুল ভালো আসায় গত বছরে লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে। গাংনী উপজেলার আযান গ্রামের আম ব্যবসায়ী ইয়ারুল বলেন , গতবছর ১২ বিঘা জমিতে আম বাগান ছিলো যা ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়,তাতে করে আমি গত বছর মোটা অংকে লচে ছিলাম। এ বছর লাভের আশায় গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ৬ দাগে ২৭ বিঘা জমির আম বাগান নিয়েছি। বর্তমানে আম গাছে যাতে কনো পোকার আক্রমণ বা মুকুল নষ্ট না হয় সেজন্য ঔষধ দিয়ে পরিচর্যা করছি। মুকুলের পরিমাণ মোটামুটি ভালো আছে ৷ মাইলমারী গ্ৰামের মাজিদ আল মামুন বলেন আমার বাড়ি উঠানে ও পুকুরের আশেপাশে আমের কিছু গাছ আছে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের মুকুল অনেক বেশি। আজান গ্রামের আম ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম গোলাপ বলেন এ বছর আমের মুকুল পর্যাপ্ত ভালো এসেছে তবে গত বছর আমের মুকুল ভালো না আসায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক লোকশান গুনতে হয়। তবে আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে এ বছরে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো। SHARES সারা বাংলা বিষয়: