ভাঙ্গায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার;ধর্ষক আটক

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪

মোঃ রিপন শেখ,ভাঙ্গা।ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের মানিকদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী (১২) ভ্যান চালকের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরই ধর্ষক ভ্যানচালক সামাদ শেখ (৩৪) কে আটক করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা বাবলু শেখ বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । বৃহস্পতিবার মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষা ও বিচারকের কার্যালয়ে জবানবন্দীর প্রক্রিয়া শেষে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় স্কুলটির শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ধর্ষকের বিচারের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোশারেফ হোসেন জানায়, গত(২৭ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে মেয়েটির বাড়ির পাশের গম খেতে এই ঘটনার ঘটে। বুধবার মেয়েটির বাবা বাবলু শেখ ভাঙ্গা থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ে করেন । তার অভিযোগের পর ভাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটকামারি ইউনিয়ন থেকে আটক করা হয়। ধর্ষক সামাদ শেখ(৩৪) উক্ত গ্রামের এজাহার শেখের পুত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষক সামাদ শেখের স্ত্রী ও তিনটি সন্তান রয়েছে। সে ইতিপূর্বে গার্মেন্টসে কাজ করতো। সম্প্রতি সময়ে অটো ভ্যান চালিয়ে সংসার নির্বাহ করে।

স্কুল ছাত্রীর পিতা বাবলু শেখ জানায়, আমার স্ত্রী মারা যাবার পর দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে আমি কোনরকম দিন যাপন করিতেছি । আমার দ্বিতীয় মেয়ে ক্লাস থ্রিতে পড়াশোনা করত। মা মরা মেয়েটির দিকে কুদৃষ্টি দেয় আলগী ইউনিয়নে চরবালিয়া গ্ৰামের ৫ নং ওয়ার্ডের ভ্যানচালক বাবলু শেখ । সে আমার পাশের বাড়ির হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সময় আমার মেয়েটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে তার কাছে টেনে নেয়।

মঙ্গলবার দুপুরে আমার মেয়ে পাশেই আমার আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যায়। আমার মেয়ে দাওয়াত খেয়ে বাড়ির ফেরার পথে রাত ৯ টার দিকে রাস্তার উপর থেকে জোর করে তুলে গম ক্ষেতে নিয়ে যায় বাবলু শেখ। মেয়েটির মুখ চেপে ধরে বাবলু শেখ তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেয়েটিকে লোভ লালসা দেখিয়ে এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ীর পাশে রেখে যায়। পরদিন বুধবার দুপুরে মেয়েটি ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে বাড়ির লোকজন ঘটনার সবকিছু জানতে পারে। মেয়েটি বেশি অসুস্থ হলে তার কাছ থেকে সবকিছু শুনে আমরা আইনের আশ্রয় নেই।
আমি এই ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।