ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ নাসির নগর ধানের শীষের প্রতীকের প্রত্যাশি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মামুন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৫ মুনতাসির রেজা।। সালটা ১৯৭৮ সালের ১ম দিকে, তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি, তখন আওয়ামী এন্ট্রি প্লাটফর্ম হিসেবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। কলেজ জীবন শেষে উচ্চতর পড়াশোনার জন্যে চলে যান, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৩ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহজালাল হল শাখার জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন, পরবর্তিতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের উক্ত হলের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহবায়ক হিসেবে কাজ করেন৷ #জনপ্রতিনিধি ও দলীয় রাজনীতি :- ১৯৮৮ সালে ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, তারপর পরপরই #১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)র ধানের শীষের প্রাথমিক মনোনয়ন লাভ করেন, পরে দলের সিদ্ধান্তে ওনি তৎকালীন বিএনপি নেতা এসএস সাফি মাহমুদ কে মনোনয়ন ছেড়ে দেন, যেটা দলের প্রতি আনুগত্যতার প্রমান দেন। তখন ওনি বলে ছিলেন দলের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে মনোনয়ন দিয়ে সম্মানিত করেছেন, ওনার নির্দেশে মনোনয়ন ছেড়ে দিয়েছি। #ইউ/পি নির্বাচন :- ১ম বার ১৯৮৮ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২য় বার ১৯৯৬ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ৩য় বার ধানের শীষের মনোনয়নে ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। #দলের দায়িত্ব :- ১৯৯৬ সালে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির একক আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আবার দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দুই মেয়াদে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এবং ২০২৩ সালের সম্মেলনের আগ পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। #আন্দোলন সংগ্রামে ও কারাবরণ :- একজন আইনজীবী হিসেবে, দলের ক্রান্তিলগ্নে যারা মামলা -হামলার শিকার হয়েছে, তাদের জামীনে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে রাজপথে দলিয় কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। #কারাবন্দী:- একাদিক বার ওনি কারাবাস করেছেন, সর্বশেষ নাসিরনগরের আলোচিত মন্দির ভাঙ্গা মামলায় চার্জশিট ভুক্ত আসামী হয়ে কারাবাস করেছেন। বিঃদ্রঃ – কারানির্যাতিত হন আওয়ামী সরকারের রোষানলে ( ২০০৮ সালে,২০১৭ সালে ও ২০২২ সালে)। #বর্তমানে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১১তম সদস্য হিসেবে কাজ করে গেছেন। ২০২৩ সালের নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত করতে ওনার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মত, ওনার সর্বোচ্চ ত্যাগের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই সম্মেলন সফল করতে নিজের সবটা উজার করে দিয়েছেন, তৎকালীন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা একরামুজ্জামানের প্যানেল কে পরাজিত করে, পুরো প্যানেল জয় লাভ করেন। যার ফলে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে আজ দাড়িয়ে আছে। #জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন :- জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২০১৯ & ২০২০ সালে পরপর দুই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন, পরবর্তীতে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের রোষানলে ০১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। ২০২৪ সালে ওনি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভোটে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। #বর্তমান সময়ে নাসিরনগর উপজেলায় যারা রাজনীতি করেন, তার মধ্যে ওনি বয়োজ্যেষ্ঠ, যিনি সারাটি জীবন, এই দলকে কিভাবে বৃহত্তর দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, সেই চেষ্টা করে গেছেন। SHARES সারা বাংলা বিষয়: