চরাঞ্চলে নানা ফসল উৎপাদন করে নদীভাঙা শত শত পরিবার স্বাবলম্বী দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৪ মোঃ মানিক হোসেন, বেড়া। পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর পূর্বপার ঘেসে গড়ে উঠা হাটুরিয়া-নাকালিয়া, রুপপুর ইউনিয়নের চর অঞ্চলের বিস্তৃর্ণ চারণভূমি এখন আবাদি জমিতে পরিনিত হয়েছে। চরগুলোতে এখন ফসছে নানা রকম ফসল। এই ফসল আবাদ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে চরের শত শত নদী ভাঙ্গা মানুষ। বেড়া উপজেলায় রয়েছে অনেকগুলো নদ-নদী, খাল বিল। উপজেলার পূব প্রান্ত হাটুরিয়া-নাকালিয়া, কৈটোলা ও রুপপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে যমুনা নদী উত্তর পাশে বড়াল ও দক্ষিন পাশ দিয়ে পদ্মা নদী প্রভাহিত হচ্ছে। নদী বুকে জেগে উঠা চরে নদী ভাঙ্গা মানুষ নানা জাতের ফসল আবাদ করছে। প্রতি বছর বন্যার পর নদীর বুকে জেগে উঠা চর কোথাও বালির স্তপ, আবার কোথাও বেলে দোআঁশ মাটির চর কৃষকদের হাত ছানি দেয় ফসল ফলাতে। চরের বুকে বসবাসরত কৃষক বেচেঁ থাকার তাগিদে রবিশস্য উৎপাদনে মনোনিবেশ করেন। খরস্রোতা নদীর চরগুলো এখন সবুজপ্রান্ত।বেড়া উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে বেড়ার চরাঞ্চলে বোরো ২০০ হেক্টরে ১২৪০০ মে.টন, মসুর ৩৫০ হেক্টরে ৫২৫ মে.টন, খেসারী ৯০০ হেক্টরে ১৫৩০ মে.টন, রসুন ৩০০ হেক্টরে ২৫২০ মে.টন, সবজি ১১৫০ হেক্টরে ১৮৪০০ মে.টন, চিনাবাদাম ১৩০০ হেক্টরে ২৯৯০ মে.টন, তিল ১০০০ হেক্টরে ১৬০০ মে.টন, পাট ১১০০ হেক্টরে ৩১৯০ মে.টন, মাসকলাই ১৫০০ হেক্টরে ২১০০ মে.টন, সরিষা ৫০০ হেক্টরে ৮০০ মে.টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিধারন করা হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, চরের বুক জুড়ে ¯’রে ¯’রে ধান, গম, পাট, ভূট্রা, বাদাম, সরিষা, তিল, মিষ্টি আলু,মশুরডাল, মাসকলাই, গ্রীস্ম কালীন পিয়াজ, ধনিয়া, বেগুন, সিম, শসা, পটল, করলা, মিষ্টি কুমড়া,চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গে, সূর্যমুখী শাকসবজিসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করছে। চরঅঞ্চলের উৎপাদিত শাকসবজি স্থানীয়দের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। এতে যমুনায় ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে যমুনা ও পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের প্রতিটি পরিবারে। হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের চর নাগদা গ্রামরে নাসির উদ্দিন বলেন, নিজের ভিটেমাটি বলতে তেমন কিছু নেই। ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় যমুনায় বেশ কয়েকবার নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তিনি।এখন চরের বুকে তোলা দুটো ঘর, নিজের জমিতে চাষাবাদ করা ফসলই তার সম্পদ। নিজের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় একটি বাজারে বিক্রি করতে তুলছেন। চলতি মৌসুমে চরের দুই বিঘা জমিতে সরিষা ও মাসকালাই পাশাপাশি এক একর জমিতে বেগুন আবাদ করেছিলেন কৃষক নাসির উদ্দিন। বেগুন বাম্পার ফলন এবং ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে ভীষণ খুশি তিনি।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত কবির বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলার চরঅঞ্চলের ৮,৭৫০হেক্টর জমিতে রবি ফসলের বাম্পার ফলনে সম্ভবনা রয়েছে। উপজেলার চরের কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধি জন্য আমরা নিয়মিত মাঠ দিবসের মাধ্যমে সেখানকার কৃষকদের কৃষিকাজের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি অফিসের নানা ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে বিনা মূল্যে সার, বীজ ও বিভিন্ন প্রকার আধুনিক যন্ত্রাংশ প্রদান করে আসছি বলে তিনি জানান। SHARES সারা বাংলা বিষয়: