সিংগাইরে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করায় চরম ভোগান্তিতে অর্ধ-শতাধিক পরিবার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৫

রিপন মিয়া ।। মানিকগঞ্জের সিংগাইরে  বাঁশের বেড়া দিয়ে   গ্রামবাসীর  চলাচলের  রাস্তা বন্ধ  করে দেয়ার অভিযোগ  উঠেছে বাদশা  নামের এক  প্রভাবশালী  ব্যক্তির বিরুদ্ধে ।  এতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন  প্রায় ৫০ টি  পরিবারের লোকজন । সম্প্রতি  এ অমানবিক ঘটনাটি  ঘটেছে সিংগাইর উপজেলার  বলধারা ইউনিয়নের  পূর্ব বাঙ্গালা গ্রামে  ।
এ জিম্মি দশা হতে রক্ষা পেতে  এলাকাবাসীর  পক্ষ হতে  মো. মিজানুর রহমান   ইউএনও  বরাবর গণস্বাক্ষরকৃত  একটি লিখিত  অভিযোগ দায়ের  করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সুত্রে  জানা গেছে,   উপজেলার  বলধারা ইউনিয়নের পূর্ব  বাঙ্গালা গ্রাম  ৭নং ওয়ার্ডের  দারু মিয়ার  বাড়ী হতে    বাঙ্গালা  সড়কের  আব্দুর রশিদের বাড়ী পর্যন্ত  পায়ে হাটার   শত বছরের  এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন  স্কুল কলেজ,   মাদ্রাসা , হাট-বাজার অফিস গামী   শত শত মানুষ চলাচল  করে আসছিল। কয়েক দিন আগে  একই ইউনিয়নের  পার্শ্ববতী ব্রী কালিয়াকৈর   গ্রামের  মৃত.বাছেরের  পুত্র  বাদশা  মিয়া তার   জমির পশ্চিম  পাশের   রাস্তার  একটি অংশসহ সম্পূর্ণ  জমিতে বাঁশের  বেড়া  দিয়ে  রাস্তাটি  বন্ধ  করে দেন।
শতবর্ষী    এ রাস্তাটি   বাঁশের    বেড়া দিয়ে   বন্ধ করে দেওয়ায়    অন্তত পক্ষে  ২৫০- ৩০০ জন  লোক চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।  ফলে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা স্কুল, মাদ্রাসা যেতে পারছে না। যে কারণে  তাদের পাঠদান   ব্যাহত হচ্ছে।  কৃষকরা  উৎপাদিত  খাদ্য শস্য  পরিবহন না করতে পারায়  ন্যায্য মূল্য হতে হচ্ছে বঞ্চিত। বিশেষ করে  গর্ভবতী নারী , রোগীদের  দিতে হয়  চরম মাশুল।  এছাড়া যদি কোন মানুষ মৃত্যু  বরণ করে  তাহলে  জানাজার জন্য মরদেহ বের করাই  কষ্ট সাধ্য।
সরেজমিনে রবিবার(২৫ মে)  ঘটনাস্থলে  গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এবং স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী(৭৫) এ প্রতিবেদককে জানান, বাপ-দাদার আমল হতে এ পথ দিয়ে  চলাচল করে আসছি। পথটি বন্ধ করে  দেওয়ায়  মাঠ হতে ফসল আনা ও গরু ছাগল নিয়ে চলাচল মহা মুশকিলে পড়লাম।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন  এ রাস্তা দিয়ে  স্কুল, কলেজ হাট বাজার , হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটি বন্ধ  করে দেওয়ায় আমরা দুই-তিনশত লোক জিম্মি হয়ে গেলাম। রাস্তাটি মুক্ত  করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ  কামনা করছি।
অভিযুক্ত বাদশা মিয়া রাস্তা বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন,আমার জায়গা আমি বেড়া দিছি এখান দিয়ে রাস্তা দেয়া সম্ভব না। তিনি আরো বলেন,তারা আটকে থাকলে আমি কি করুম।
এ ব্যাপারে উপজেলা  নির্বাহি অফিসার মো.কামরুল হাসান সোহাগ বলেন,আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি দেখব এবং দ্রুত সমাধানের চেস্টা করব।