মঙ্গলবার বিকেলে গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিয়াঘাট দোস্তানানগর গ্রামে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এসব অভিযোগ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিয়াঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নয়ন উদ্দিন, সদস্য শহিদ আহমেমদ, যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম, সাঈদুল ইসলা, ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক কাওছার আহমেমদ, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সদস্য মো. শুভ, নাইম, মো. নাজিম, শাকিব আহমেদ প্রমুখ।

মো. সাইফুল ইসলাম শান্ত বিয়াঘাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এবং শাকিবুল হাসান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। অভিযুক্ত রিপন সিং গুরুদাসপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আনিসুর রহমান উপজেলা স্বেচ্ছাসবেক দলের সদস্য সচিব পদে রয়েছেন। তারা উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল নেতা শাকিবুল হাসান  শান্ত, বলেন, মাসখানেক আগে হাঁড়িভাঙ্গা বিলের একটি পুকুর সংস্কারের জন্য খননযন্ত্র (ভেকু) নামিয়ে ছিলেন তিনি। প্রায় ১৫ আগে ভেকুটি অকেজো হয়ে পড়ে। এখনো সেই অবস্থাতেই আছে। পুকুরটি সংস্কার করতে গিয়ে যুবদল নেতা রিপন সিং, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য সমর্থকদের প্রায় ২লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। সবশেষ ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন আনিসুর ও রিপন সিং। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শনিবার দিবাগত রাতে দলবল নিয়ে ভেকুর ভ্যাটারিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে আসেন। এনিয়ে রাতেই তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়

ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, যুবদল নেতা রিপন সিং ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনিসুর রহমান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ছিলেন। তার একাধিক প্রমাণও রয়েছে। অথচ সেসব ব্যক্তি চাঁদাবাজির জন্য উদগীব হয়ে উঠেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার ভেকুর যন্ত্রাংশ খুলতে গিয়ে আতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থানায় মিথ্যা মারধরের মামলা দায়ের করেছেন। সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।মিথ্যা ওই মামলা প্রত্যাহার ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

তবে চাঁদাদাবির অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা রিপন সিং বলেন, ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছিলেন ওই দুই নেতা। গ্রামবাসিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করায় শাকিবুজ্জামান শান্ত ও সাইফুল ইসলাম শান্তর নেতৃতে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় অন্তত ৯ নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এঘটনায় তিনি মামলাও দায়ের করেছেন।

গুরুাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসমাউল হক বলেন, দুইপক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।