মহিমাগঞ্জ রংপুর চিনিকল পুনরায় চালুর আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি থাকলেও, বাস্তবে নেই দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৫
ইমন মিয়া ।।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম  রংপুর চিনিকল এক সময় ছিল হাজারো শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষির জীবিকার অন্যতম ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে মাঝে,মাঝেই উঠে আসে পুনরায় চালুর ঘোষণা-আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি,বাস্তবে নেই দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি।
প্রতিবারই নতুন সরকার, নতুন প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আশাব্যঞ্জক বক্তব্য।  দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় আখচাষি, শ্রমিক এবং স্থানীয় জনসাধারণ দিন দিন হতাশগ্রস্ত  হয়ে পড়ছে।
কৃষকরা বলছেন, আখ চাষ করে লাভ কি?  আমাদের মিলতো বন্ধ।আখ চাষ করলেও সেই আঁখ চলে যায় জয়পুরহাট সুগার মিলে। রংপুর চিনিকল  চালু করবে এমন প্রতিশ্রুতি থাকলেও মাঠে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ।
শ্রমিকদের  কর্মসংস্থান বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে।
জনসাধারণের মতে, মিল চালু হলে শুধু শ্রমিক নয়, গোটা গাইবান্ধা, উত্তর অঞ্চল ও দেশের অর্থনীতিই চাঙ্গা হতো, কিন্তু সরকার  কর্তৃপক্ষ ও মিল প্রশাসনের দ্বিধাদ্বন্দ্বপূর্ণ অবস্থান এবং গতি-থেমে যাওয়া উদ্যোগে সবার মুখে এখন শুধুই প্রশ্ন চিনিকল কি আদৌ আর চালু হবে
অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শুধু অর্থনীতিই নয়, সমাজিক কাঠামোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। চিনিকল চালুর বিষয়টি, শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো এক সময় চিনিকলের অস্তিত্বই মুছে যেতে পারে।
মহিমাগঞ্জ রংপুর চিনিকল পুনরায় চালু হবে কি না, তা এখন সময়ই বলে দেবে। তবে কৃষক, শ্রমিক ও জনসাধারণ চাওয়া ও পাওয়া এবার যেন শুধুই ঘোষণা যেন না হয়, বাস্তবতার দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে চাই। পুনরায় এই চিনিকল চালু মানেই,চাতক পাখির মত চেয়ে থাকা হাজারো মানুষের  মুখে আবারও  হাসি ফোটানো।