কচুয়াহাট হইতে বোনারপাড়া রাস্তার কাজ কয়েক ধাপে শুরু হলেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৫

ইমন মিয়া ।।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়াহাট হতে বোনারপাড়া চৌ-মাথা এলাকার সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়ক পর্যন্ত সড়কের বেশির ভাগ উন্নয়ন কাজ ফেলে রেখে প্রায় ৬ বছর পূর্বে লাপাত্তা হয়েছে ঠিকাদার। দীর্ঘ দিন ফেলে রাখা সড়কে প্রতি বর্ষা মৌসুমের প্রবল বৃষ্টি এবং যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে রোলিং করা খোঁয়া উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে বৃষ্টিতে ধসে যাওয়া সড়কটি মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অসংখ্য মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কের এমন অবস্থা চলতে থাকায় ভুক্তভোগি মানুষের মধ্যে চরমক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।সরেজমিনে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আওতায় বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্ররুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বোনারপাড়া জিসি-কচুয়াহাট পর্যন্ত ৬ হাজার ৪০০ মিটার সড়কের প্রশস্তকরণসহ উন্নয়ন কাজের টেন্ডার হয়। সড়কটি প্রশস্তকরণ, সড়কের দু পাশের আবাদি জমির পানি নিস্কাশনের জন্য ৪টি বক্সকালভার্ট নির্মাণ, ৪ টি ইউড্রেন ও গাইডওয়াল নির্মাণসহ কার্পেটিংয়ের জন্য ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৬ টাকা বরাদ্দ হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ পায় সরকার দলের প্রভাবশালী এক নেতার আত্মীয়ের ঢাকার ধানমন্ডির মেসার্স এইচটিবিএল-সিসিসিজেভি নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার কথা ছিলো। সে মোতাবেক ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর কাজ শুরু করে ছিলেন ঠিকাদার।সাঘাটা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের উন্নয়ন কাজের ঠিকাদার পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দলের একজন প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়। সেই প্রভাবে তিনি কাজের নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কাই করতেন না। ওপর থেকে তদবির করে বিল নিতেন। এ কারণে সড়কের এ অবস্থা দাঁড়িয়েছে।এ সড়কে চলাচলকারী বাঁশহাটা এলাকার ভ্যানচালক আসাদুল জানান, সড়কের খোঁয়ার উপর চলতে মানুষের যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি ভ্যানের টায়ার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হচ্ছে।বোনারপাড়া কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অনিক, তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিয়ামসহ অনেকেই সড়কে যাতায়াতে তাদের কষ্টের কথা জানান।কচুয়াহাটের তরুণ উদ্যোক্তা খালেদ হাসান বলেন, এখন সড়কটি এলাকার মানুষের গলার কাঁটা। সড়কে যানবাহন চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমআকার ধারণ করলেও জনসাধারণের এসব দুঃখ-কষ্ট দেখার কেউ নেই। এভাবে কষ্ট করে কি এতদিন চলাচল করা যায় ? এছাড়া কচুয়াহাট সহ আশেপাশে সকল এলাকার কম সময়ে ও কম টাকায় বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশন যাওয়ার একমাত্র পথ এটি। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর হয় এই রাস্তাটি এভাবে পড়ে থাকায় এসব এলাকার জনগন টাকা বেশি দিয়ে অন্যান্যা পথ ব্যবহার করছে যা অনেক সময় সাপেক্ষ যাতায়াত ব্যবস্থা।মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব লায়ন বলেন, সড়কে জনদুর্ভো দেখে অনেক বার এলজিইডি অফিসে গিয়ে অবশিষ্ট কাজ করার কথা বলেছি, কিন্তু কাজ হয়নি।এ বিষয়ে ওই ঠিকাদারের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।বর্তমানে সড়কটির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরীকে মুঠোফোনে কল করে সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।