জিসান ইজাজ ।হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হয়েছেন আজ। মাওলানা মামুনুল হক দীর্ঘ ৩ বছর ২ মাস পরে আজ শুক্রবার (৩রা মে) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (সুব্রত কুমার বালা)এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের শত শত নেতাকর্মীরা, নেতাকর্মীদের কঠোর নিরাপত্তায় তেকে তার বহনকারী গাড়িতে ওঠানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আনুমানিক ৮টার দিক থেকে নেতা নেতাকর্মীদের ভিড় বারতে থাকে বৃহস্পতিবার (২রা মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে নেতাকর্মীরা এবং তার শত শত সমর্থকরা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি বিভিন্ন জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পাননি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩রা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ই এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে ৩০শে এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী।
যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ৩৭টি মামলা করা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে তার নেতাকর্মী এবং তার শত শত সমর্থকদের মধ্যে খুশির বন্যা বইছে